সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে নতুন করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাছাড়া শীতকালে রাজধানীর ‘বিষাক্ত’ পরিবেশে সংক্রমণ সহজে নিয়ন্ত্রণে আসা কঠিন। তাই আর ঝুঁকি না নিয়ে সংসদের আগামী শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session) বাতিল করতে পারে কেন্দ্র। পরিবর্তে আগামী বছর বাজেট অধিবেশন খানিকটা দীর্ঘায়িত করা হতে পারে। মোদি (Narendra Modi) সরকারের একাধিক মন্ত্রী সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
চলতি বছর সংসদের দুই অধিবেশনেই কমবেশি প্রভাব ফেলেছে করোনা (CoronaVirus)। বাজেট অধিবেশন চলাকালীনই এই ভাইরাসের দাপট শুরু হয় ভারতে। দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ায় মাঝপথেই বাতিল করে দিতে হয় অধিবেশন। তারপর বাদল অধিবেশন নিয়েও বিস্তর টানাপোড়েন হয়। শেষপর্যন্ত কঠোর করোনা বিধি মেনে সংক্ষেপে সেই অধিবেশন ডাকা হলেও এড়ানো যায়নি বিপদ। বাদল অধিবেশনের পর কমবেশি ৪০ জন সাংসদ করোনা আক্রান্ত হন। মৃত্যু হয় রাজ্যসভার ৩ সাংসদের। সূত্রের খবর, শীতকালীন অধিবেশনে দিল্লির পরিস্থিতি দেখে আর ঝুঁকি নিতে চাইছে সরকার।
নিয়ম অনুযায়ী শীতকালীন অধিবেশনের সপ্তাহ তিনেক আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ঠিক হয় কবে থেকে সংসদ চালু হবে, কতদিন চলবে। সেইমতো প্রস্তাব পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি অধিবেশন ডাকেন। অধিবেশন শুরুর অন্তত ২ সপ্তাহ আগে সাংসদদের নোটিস দেওয়া হয়। হিসেব মতো এ বছর এতদিন এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সংসদ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার (Union Cabinet) বৈঠক পর্যন্ত ডাকেনি সরকার। অদূর ভবিষ্যতে বৈঠক ডাকার সম্ভাবনাও নেই। তাতেই মনে করা হচ্ছে বিরোধীদের সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে অধিবেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে করোনা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে। শেষপর্যন্ত যদি শীতকালীন অধিবেশন সম্ভব না হয়, তাহলে আগামী বছর বাজেট অধিবেশনের সঙ্গে সেটা মিলিয়ে দেওয়া হতে পারে। প্রসঙ্গত, এ বছর যদি শীতকালীন অধিবেশন না হয়, সেটা হবে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে চতুর্থবার। এর আগে ১৯৭৫, ১৯৭৯ এবং ১৯৮৪ সালে বিভিন্ন কারণে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.