ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবারই কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক জানিয়েছে,লকডাউনের সময় কতজন পরিযায়ী শ্রমিক (migrant workers) কাজ হারিয়েছেন এবং কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য সরকারের কাছে নেই। কেন্দ্রের এই বয়ান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো কাটাছেঁড়া চলছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দাবি, “পরিযায়ীদের মৃত্যু সকলেরই নজরে এসেছে। কিন্তু মোদি সরকারের উপরেই তার কোনও প্রভাব পড়েনি। এটা দুর্ভাগ্যজনক।” পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি সরকারের মনোভাবে তিনি যে ক্ষুব্ধ, তা রাহুল বুঝিয়ে দিয়েছেন এক টুইটে।
লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বিঁধেছেন কংগ্রেস নেতা। কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে রাহুল (Rahul Gandhi) লেখেন, ‘‘মোদি সরকার জানে না লকডাউনের সময় কতজন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গিয়েছেন এবং কতজন কর্মহীন হয়েছেন? তোমরা গণনা করোনি বলে কি মৃত্যু হয়নি?’’ পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি সরকারের মনোভাবকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে রাহুল লেখেন, “পরিযায়ীদের মৃত্যু সকলেরই নজরে এসেছে। কিন্তু মোদি সরকারের উপরেই তার কোনও প্রভাব পড়েনি।” উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই দেখা গিয়েছিল আচমকা কাজ খুইয়ে বাড়ি ফিরতে মরিয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা। কোনও রকম যানবাহন না থাকায় ভিন রাজ্যে গ্রাসাচ্ছেদনের জন্য আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকেই দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। এর ফলে বহু শ্রমিকের রাস্তাতেই মৃত্যু হয়। অথচ, সরকারের কাছে তার কোনও হিসেব পর্যন্ত নেই।
সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যাকে পরিমাপ করতে ব্যর্থ হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে সোমবার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, কোভিড-১৯ রুখতে দেশব্যাপী লকডাউনের ফলে সৃষ্টি হওয়া এই অভূতপূর্ব মানব সংকটের সঙ্গে লড়াইয়ে ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে সাড়া দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, আবাসিক কল্যাণ সমিতি, চিকিৎসা ক্ষেত্রের পেশাদার কর্মী, স্যানিটেশন কর্মীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক বেসরকারি সংস্থাও এই লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে বলে জানানো হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.