ফাইল ছবি।
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ‘অমিত শাহ ইস্তফা দিন, প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিন’। এই স্লোগান তুলে আজ, সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার প্রথম দিনই বিরোধীদের তুমুল হইহট্টগোলে দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভা। রাজ্যসভাতেও ঝড় তুললেন বিরোধীরা। উচ্চকক্ষের অধিবেশনও মুলতুবি দুপুর পর্যন্ত। সংসদ ভবনের বাইরে কংগ্রেস সাংসদরা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল সাংসদরা চোখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন বিক্ষোভ দেখান।
আজ থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। CAA বিরোধী বিক্ষোভের জেরে সদ্যই হিংসা, অশান্তিতে জ্বলেছে উত্তরপূর্ব দিল্লি। তা থামাতে কেন্দ্র প্রত্যাশিত সদর্থক ভূমিকা নেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। আর সেই অভিযোগকে হাতিয়ার করে সংসদের ভিতরে-বাইরে সাঁড়াশি আক্রমণে কেন্দ্রকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছিলেন বিরোধীরা। সেইমতো কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিআই, সিপিএম, ডিএমকের তরফে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয় দিল্লি হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে। রাজ্যসভায় বাম সাংসদরাও একই প্রস্তাব আনেন।
তবে দিল্লির হিংসার সঙ্গে আরও কয়েকটি ইস্যুতেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং দাবি তোলেন, যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে হিংসার ঘটনাগুলির তদন্ত হোক। হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে সিট তৈরি হোক।
সংসদের বাইরে কংগ্রেস সংসদীয় দল প্রতিবাদ জানানোর সময় গুলাম নবি আজাদ অভিযোগের সুরে বলেন, “হিংসা থামাতে কেন্দ্রের কোনও ইচ্ছে ছিল বলে আমাদের মনে হয়নি। এ নিয়ে আলোচনা চাই। কিন্তু সরকার বলতে চায়, হিংসা থামলে তবে আলোচনা। এর কী অর্থ?” অধীর চৌধুরির অভিযোগ, “এত লোক মরছে, হুঁশ নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। তিনদিন পর প্রধানমন্ত্রী একটি টুইট করে দায় সারলেন।” বিরোধী সাংসদদের এত শোরগোলের চাপে দুপুর ২ টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। দ্বিতীয়ার্ধে তা শুরু হলেও, কতটা মসৃণভাবে চালানো সম্ভব হবে, সে বিষয়ে সংশয় থাকছেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.