সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে চলছে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন। শুক্রবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে যায়। পালটা তাঁকে ‘দু’দিনের ছোকরা’ বলে কটাক্ষ করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। দু’পক্ষের হইচইয়ের জেরে লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার। এরপর স্পিকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন বিরোধীরা।
এদিন লোকসভায় করের নিয়ামবলি সংক্রান বিল আনার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানান, মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর পিএম কেয়ার ফান্ড নিয়ে জবাব দেবেন। সেই মতো করোনা মোকাবিলায় তৈরি প্রধানমন্ত্রী তহবিল নিয়ে বলতে ওঠেন। জবাব দেওয়ার সময় অনুরাগ বলেন, “হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট সর্বত্র পিএম কেয়ার্স তহবিলকে বৈধতা দিয়েছে। বাচ্চারাও এই তহবিলে টাকা দিচ্ছে। ১৯৪৮ সালে নেহরুজি প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ড তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিদেশি অনুদান পাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছিল। কিন্তু সেই ট্রাস্ট আজ অবধি রেজিস্ট্রেশন পায়নি। কিন্তু তাঁরা সেই ট্রাস্টের সদস্য বানিয়েছেন নেহরু, সোনিয়া গান্ধীদের। এটা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিৎ।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদরা হইচই বাঁধিয়ে দেন। এ নিয়ে বলতে গিয়ে লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “হিমাচলপ্রদেশে এই ছেলেটা কে? এই বিতর্কের মধ্যে নেহরুকে টেনে আনছে। আমরা কি প্রধানমন্ত্রীকে টেনে এনেছি?” এরপরই অনুরাগ ঠাকুরক ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানান তাঁরা। শেষপর্যন্ত ওয়াক আউট করে যান তাঁরা।
এই হইচই চলাকালীন সাংসদদের মাস্ক পরে থাকার আবেদন জানান স্পিকার ওম বিড়লা। বলেন, যাঁরা নিয়ম মানবেন না, তাঁদের নাম নোট করে সংসদের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপরই লোকসভা স্থগিত করে দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.