সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ১৮ জুলাই শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। অধিবেশন চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। মোট ১৮ টি কর্মদিবসে বসবে অধিবেশন। সোমবার নয়াদিল্লিতে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে সংসদ বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে বাদল অধিবেশনের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার। সেই সঙ্গে বিরোধীদের কাছে সবরকম সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তিনি।
Monsoon session of Parliament to be held from 18th July till 10th August. It will comprise of 18 working days pic.twitter.com/6rGmLtg2EI
— ANI (@ANI) 25 June 2018
এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবচেয়ে আলোচিত ছিল তিন তালাক বিল। কিন্তু চারবছর ধরে এখনও সেই বিল পাশ করিয়ে আইনে পরিণত করতে পারেনি সরকার। গত বাজেট অধিবেশন লোকসভায় বিলটি পাশ হয়ে গেলেও আটকে যায় রাজ্যসভায়। আপাতত স্ট্যান্ডিং কমিটিতে সংশোধনীর জন্য পাঠানো হয়েছে বিলটিকে। বাদল অধিবেশনে ফের রাজ্যসভায় পেশ হবে তিন তালাক বিল। এবারে বিলটি পাশ করাতে বদ্ধ-পরিকর কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনে বিরোধীদের সাহায্যও চাইতে পারে সরকার। বিজেপির আশা, সোনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতীদের মতো মহিলা নেত্রীরা তিন তালাক বিলের পক্ষেই সায় দেবেন। প্রয়োজনে তাদের কাছে বার্তাও পাঠানো হবে অধিবেশনের আগেই। কারণ যে তিন তালাক বিল নিয়ে এত আলোড়ন সেই বিলটিই যদি পাশ না করানো যায় তাহলে ১৯-এর আগে ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগতে পারে বিজেপির।
তাছাড়া এই বাদল অধিবেশনের পর, আর একটি মাত্র পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন পাবে এনডিএ সরকার। তাই, কার্যত এই শেষ সুযোগ ছাড়তে নারাজ বিজেপি। তিন তালাক বিল ছাড়াও এবার সংসদে এসসি-এসটি আইনের সংশোধনী পেশ করা হবে। ওবিসিদের জন্য তৈরি ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস’ কেও সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার জন্য জন্যও ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই অধিবেশনেই। এছাড়াও মেডিক্যাল এডুকেশন বিল, ট্রান্সজেন্ডার বিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিল পেশ হবে এবারের অধিবেশনে।
বাদল অধিবেশনে মোট ৬টি অর্ডিন্যান্স আনতে চলেছে কেন্দ্র। কিন্তু ঠিক কতগুলি অর্ডিন্যান্স পাশ করানো সম্ভব হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান সরকারপক্ষেরই একাংশ। কারণ বিগত অধিবেশনগুলিতে দেখা গিয়েছে সেভাবে কাজই হয়নি সংসদে। একের পর এক ইস্যুতে সরকার-বিরোধী সংঘাতের জেরে হট্টোগোলেই নষ্ট হয়েছে অধিকাংশ কর্মদিবস। এবারেও সম্ভবত তার ব্যতিক্রম হবে না। কর্ণাটকে কম আসন থাকা সত্ত্বেও কেন বিজেপিকে আগে সরকার গড়ার অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়ে এবার সংসদে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস। শুধু কর্ণাটক নয়, অন্য রাজ্যগুলির রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও সংসদে প্রশ্ন তুলতে পারে ঐক্যবদ্ধ বিরোধীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.