Advertisement
Advertisement
পার্লে

মন্দার ধাক্কা! ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে বিস্কুট প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘পার্লে’

বিক্রি কমার ফলেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সংস্থা।

Parle may fire up to 10,000 employees amid slowdown
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 21, 2019 5:21 pm
  • Updated:August 21, 2019 5:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাড়ির বাজারে ধসের পর এবার বিস্কুট শিল্পেও মন্দার ধাক্কা! বড়সড় কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে দেশের বৃহত্তম বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থা পার্লে। সূত্রের খবর, শীঘ্রই প্রায় ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে পারে সংস্থাটি। মূলত বিক্রিবাটা কমে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সংস্থার তরফে। গ্রামীণ এলাকায় এই সংস্থার সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘পার্লে-জি’র বিক্রি পড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা।

[আরও পড়ুন: গতি বাড়াচ্ছে রাজধানী এক্সপ্রেস, মাত্র ১০ ঘণ্টায় পৌঁছনো যাবে দিল্লি]

পার্লে দেশের বৃহত্তম বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থা। প্রায় ১ লক্ষ মানুষ কাজ করেন এই সংস্থায়। গত ১০ বছরে একের পর এক জনপ্রিয় বিস্কুট বাজারে এনেছে পার্লে। কিন্তু, জিএসটি লাগু হওয়ার পর থেকেই একধাক্কায় অনেকটা কমে যায় বিস্কুটের বিক্রি। সংস্থার ক্যাটেগরি হেড মায়াঙ্ক শাহ জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাস ধরেই বিস্কুটের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে কমছে। লাভের অঙ্কও কমেছে অনেকটাই। ওই আধিকারিকের দাবি, ২০১৭ সালে দেশজুড়ে জিএসটি লাগু হওয়ার পর থেকেই কমছে পার্লের বিক্রি। যার ফলে মোটা অংকের লোকসান হচ্ছে সংস্থার। লোকসানের জেরেই আট থেকে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পার্লে। তারপর প্রায় ৯০ বছর সুনামের সঙ্গে কাজ করেছে সংস্থাটি। ২১ শতকের গোড়ার দিকে, জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছায়। কিন্তু, গত দু’বছরে হঠাৎই বাজার পড়তে থাকে । যার জেরে কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো পরিস্থিতি চলে এসেছে।সরকার হস্তক্ষেপ না করলে সংস্থা আরও বিপাকে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন মায়াঙ্ক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্বস্তি মিলল না সুপ্রিম কোর্টেও, যে কোনও মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন চিদম্বরম]

এমাসের শুরুতেই একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার করা সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল গত ৬ মাসে গাড়ি শিল্পে অন্তত সাড়ে ৩ লক্ষ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অর্থনীতির গতি যে কমছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন একাধিক বিখ্যাত সংস্থার আধিকারিকরাও। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা BofAML-এর দাবি ২০১১ সালের পর এবছরই বিশ্বের বাজারে মন্দার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বিশ্বব্যাপী মন্দা এলে তার প্রভাব যে ভারতের বাজারেও পড়বে সেকথা বলাই বাহুল্য। রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন মঙ্গলবারই মোদি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দ্রুত অর্থনীতির হাল ফেরাতে পদক্ষেপ না করলে সরকার জিডিপির নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না। এই পরিস্থিতি পার্লে জি-র কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তকে অনেকে মন্দার পূর্বাভাস বলেই মনে করছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement