সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুন করেছেন মহিলা! নিজের ‘গুণধর’ মেয়ের এমন কাণ্ডে স্তম্ভিত বাবা-মা। তাঁদের মত, মেয়েকে অন্ধভাবে ভালোবাসত জামাই। নির্দোষ জামাইকে খুন করার অপরাধে মেয়েকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।
মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত উত্তরপ্রদেশের সৌরভ রাজপুতের খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় গোটা দেশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইন্দিরা নগরে। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে মুসকান রাস্তোগির সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় সৌরভের। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে সৌরভের পরিবারের বনিবনা হচ্ছিল না। অশান্তির জেরে স্ত্রীকে নিয়ে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেন। স্ত্রীকে সময় দেওয়ার জন্য মার্চেন্ট নেভির চাকরিও ছেড়ে দেন সৌরভ। সেই বিষয়টি অবশ্য মোটেই ভালোভাবে নেননি মুসকান।
ইতিমধ্যে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন মুসকান। ২০১৯ সালে মুসকান-সৌরভের কন্যাসন্তানের জন্ম নেয়। কিন্তু তাতেও দম্পতির সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। উলটে প্রেমিক সাহিল শুক্লের সঙ্গে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন মুসকান। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সৌরভ ফের মার্চেন্ট নেভিতে ফিরে যান ২০২৩ সালে। তারপর থেকে একটি মার্কিন সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে চলতি মাসে বাড়ি ফিরেছিলেন সৌরভ। সেই সময়েই মুসকান এবং সাহিল মিলে তাঁকে খুন করে। দেহ ১৫ টুকরো করে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে সিমেন্ট চাপা দিয়ে বেড়াতে চলে যায় মুসকান এবং সাহিল।
সেখান থেকে ফিরে নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যায় মুসকান। স্বীকার করে স্বামীকে খুনের কথা। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে পুলিশের হাতে তুলে দেন মিরাটের দম্পতি প্রমোদ এবং কবিতা রাস্তোগি। তাঁদের সাফ কথা, মেয়ে যে জঘন্য অপরাধ করেছে তার জন্য ফাঁসি হওয়া দরকার। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দম্পতি বলেন, “আমাদের মেয়ের জন্যই সমস্যা বাড়ছিল। ওর জন্যই পরিবারের থেকে আলাদা হতে হয়েছিল সৌরভকে। ও আমাদের মেয়েকে অন্ধের মতো ভালোবাসত।” প্রবীণ দম্পতি বলছেন, এই জঘন্য অপরাধ করে বেঁচে থাকার অধিকার হারিয়েছে তাঁদের মেয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.