সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ। নিজের ছ’বছরের শিশুকন্যাকে মেরে মাটিতে পুঁতে দিল বাবা মা। রাজ্যের চৌধরপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
গোটা ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। নিজের মেয়েকে কীভাবে বাবা মা খুন করতে পারে, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পরাছে না তারা। বিশেষত, তারা যখন সৎ বাবা মা নয়। প্রতিবেশীদের মতে, ওই দম্পতি এমনিতে ভালই ছিল। কোনও বদঅভ্যাস বা অন্য কোনও সমস্যা তার মধ্যে ছিল না।
[ রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন ৯ আগস্ট, জোর টক্করে শাসক-বিরোধী ]
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার কথা তাদের জানায় প্রতিবেশীরা। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই আন্ডালপালের ওই বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানে ওই বাড়ির চত্বরেই মেয়েটির দেহ পাওয়া যায়। মেয়েটির নাম তারা। বয়স ছ’বছর। তার দেহ মাটির নিচে কবর দেওয়া ছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক তান্ত্রিকের কথা জানতে পেরেছে পুলিশ। এই তান্ত্রিক নাকি তারার বাবা ও মাকে এই উপদেশ দিয়েছিল। বলেছিল, তাদের প্রথম সন্তান কন্যা। এই সন্তানকে যদি তারা মেরে ফেলে বাড়িতেই পুঁতে রাখে তবে তাদের পরে যে সন্তান জন্ম নেবে সে সুস্থ ও সবল হবে। তান্ত্রিকের কথা মতোই কাজ করে ওই দম্পতি। নিজেদের ছ’বছরের মেয়েকে মেরে বাড়িতে পুঁতে রাখে।
তবে তারাকে মেরে ফেলার কথা অস্বীকার করেছে তার ঠাকুমা। তাঁর বক্তব্য, তারা মা তাকে নিজের থেকে আলাদা করতে চাইত না। তাই তারা মারা যাওয়ার পর তাকে নিজের বাড়িতেই কবর দেওয়া হয়। মা চেয়েছিল মেয়ের কবরের উপর একটি মন্দির বানানো হোক। তিনি আরও জানিয়েছেন, তারা রিকেট রোগে আক্রান্ত ছিল। দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছিল সে। দুর্বল হয়ে পড়ছিল। সেই কারণেই তার মৃত্যু হয়। তাঁর নাতিও রিকেটে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন তারার ঠাকুমা।
[ নিরাপত্তার প্রয়োজনে কীভাবে ব্লক করা যাবে ফেসবুক বা হোয়াটস্যাপ? পরামর্শ চাইছে কেন্দ্র ]
তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কিন্তু অন্য কথা বলছে। তারার দেহ পোস্টমর্টেম করার পর পাকস্থলি থেকে খাবারের একটি দানাও পাওয়া যায়নি। তারার মৃত্যু দম আটকে হয়েছে বলেও রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। সেকারণে পুলিশ শিশুটির ঠাকুমা, বাবা বা মায়ের কথার মধ্যে কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা খুঁজে পাচ্ছে না। মোরাদাবাদের পুলিশ অফিসার রবীন্দ্র গৌর জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তে প্রকাশ পেয়েছে মেয়েটির মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তাই তার বাবা ও মাকে নজরে রেখেছেন তাঁরা। খুব তাড়াতাড়িই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.