Advertisement
Advertisement
ভ্যাকসিন

স্বল্প মূল্যের করোনা টিকা বানানোই লক্ষ্য! ভ্যাকসিন প্রস্তুত করছে ভারতীয় সংস্থা

এই কাজে ভারতীয় সংস্থাকে সাহায্য করছে মার্কিন বায়োটেকনোলজি কোম্পানি রেফানা।

Indian company Panacea biotech developing Corona vaccine, want to make it low price
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:June 10, 2020 7:31 pm
  • Updated:June 10, 2020 10:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতিতে এবার মাঠে নামল ভারতীয় সংস্থা প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেড। এই কাজে তাদের সাহায্য করছে মার্কিন বায়োটেকনোলজি কোম্পানি রেফানা (Refana)। ভারত বায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার মতো এই সংস্থাও শুরু করল করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতি।

সার্স-কভ-২ (SARS Cov 2) ভাইরাল স্ট্রেন নিষ্ক্রিয় করে ইনঅ্যাক্টিভেটেড কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করছে ভারতীয় সংস্থা প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেড (Panacea Biotec Limited)। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ জৈন বলেন, “এই পদ্ধতিতে তৈরি ভ্যাকসিন অনেক নিরাপদ এবং রোগীর শরীরে দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। এই উদ্যোগে আমাদের সাহায্য করছে রেফানা। দুই কোম্পানির মিলিত প্রয়াসে আগামী বছরের শুরুতেই ভ্যাকসিন চলে আসবে ভারতের বাজারে। মার্কিন বায়োটেক কোম্পানির সাহায্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পৌঁছে দেওয়া হবে এই ভ্যাকসিন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, অবশেষে দর্শনার্থীদের জন্য খুলছে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের দরজা]

ভারত বায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার থেকে ভিন্ন পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন বানানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্যানাসিয়া বায়োটেক। ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিনে ভাইরাসের সংক্রমক স্ট্রেনকে একেবারে নিষ্ক্রিয় করে শরীরে ইনজেক্ট করতে চায় এই কোম্পানি। অর্থাৎ একপ্রকার কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চান তারা। এই কোম্পানির গবেষকরা জানান, “আস্ত ভাইরাসকে কোনওদিনও ভ্যাকসিন তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয় না। সব সময়েই তাকে দুর্বল করে ভ্যাকসিন বা ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনের সারফেস প্রোটিন বা স্পাইক গ্লাইকোপ্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে তাকে পিউরিফাই করার পরেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজে লাগানো হয়েছে। পিউরিফায়েড ভাইরাল স্ট্রেনের সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা নেই, তাই রোগীর শরীরে এই ভাইরাল স্ট্রেন সক্রিয় হয়ে উঠতে পারবে না। শরীরে ঢুকলে অ্যান্টিজেন হিসেবে কাজ করবে যার প্রতিরোধে দেহকোষে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।”

[আরও পড়ুন:মুশকিল আসান! দক্ষতা অনুযায়ী পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দিতে App আনছে কেন্দ্র]

এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০টি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ জৈন। তবে দেশের সব মানুষের কাছে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে কম দামে তা বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে এই কোম্পানি। মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সফল হলেই আগামী বছরের শুরুতে প্রাথমিকভাবে চার কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ কোম্পানি বাজারে নিয়ে আসবে বলে জানায়। দেশের নামী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলির মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে প্যানাসিয়া বায়োটেক। দিল্লি ছাড়াও ভারতের আরও পাঁচটি রাজ্যে এই কোম্পানির রিসার্চ ইউনিট রয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement