Advertisement
Advertisement

Breaking News

Palghar mob lynching

বিফলে সাধুর মায়ের আবেদন, পালঘর মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিতে নারাজ মহারাষ্ট্র সরকার

এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি।

Palghar mob lynching: Maharashtra govt opposes transfer of case to CBI

মৃত দুই সাধু

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:September 8, 2020 9:32 am
  • Updated:September 8, 2020 9:35 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের পালঘরে নৃশংসভাবে খুন হওয়া এক সাধুর মা সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। রাজ্যের পুলিশের উপর তাঁর কোনও ভরসা নেই বলে উল্লেখ করেছিলেন। এরপরই এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যেতে পারে বলে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। কিন্তু, সোমবারই তাতে জল ঢেলে দিল মহারাষ্ট্রের জোট সরকার। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়ে দিল পুলিশের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তাই সিবিআই তদন্তের কোনও দরকার নেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই মামলার তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হচ্ছে। তাই এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার কোনও দরকার নেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারছে না অ্যান্টিবডি, দাবি নয়া গবেষণায় ]

গত বৃহস্পতিবার একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পালঘর (Palghar) হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ওই ঘটনায় মৃত এক সাধুর মা। মহারাষ্ট্র সরকারের পুলিশের উপর তাঁর কোনও ভরসা নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার আগে একই দাবি জানিয়েছিল দেশের সাধুদের সবথেকে বড় সংগঠন অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদও। কিন্তু, সমস্ত দাবি নস্যাৎ করে সর্বোচ্চ আদালতে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতায় হলফনামা জমা দিল উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার।

গত ১৬ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের পালঘরে দুই সাধু-সহ তাঁদের গাড়ির চালককে পিটিয়ে খুন করে একদল উন্মত্ত জনতা। মৃতরা গুজরাটের সুরাটে একটি কাজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, পালঘরের কাছে তাঁদের গাড়ি আটকায় একদল জনতা। তারপর শিশু চোর সন্দেহে ওই দুই সাধু ও তাঁদের গাড়ির ড্রাইভারকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে তাদের উপরও চড়াও হয় খুনিরা। আর পুলিশের সামনে নৃশংসভাবে তিন জনকে পিটিয়ে মারে। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। আর তদন্তে নেমে ১৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করে মামলা শুরু করে মহারাষ্ট্র পুলিশ।

[আরও পড়ুন: লাদাখ সীমান্তে মাঝরাতে ফের গুলির লড়াই, LAC পেরিয়ে হামলা চালিয়েছে ভারত, দাবি চিনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement