Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুলওয়ামা

পুলওয়ামা ২.০: বিফল ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রহস্যময় পাকিস্তানি ‘ফৌজি ভাই’

কাটেনি বিপদ, উপত্যকায় এখনও সক্রিয় 'ফৌজি ভাই'।

Pakistani terrorist 'Fauji Bhai' behind foiled Pulwama attack
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 30, 2020 1:36 pm
  • Updated:May 30, 2020 1:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় বিফল হয়েছে পুলওয়ামা ২.০। জম্মু ও কাশ্মীরে ফের সেনাবাহিনীকে রক্তাক্ত করার জঙ্গিদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গিয়েছে। তবে বিপদ কেটে গিয়েছে এমনটা ভাবা বাতুলতা। কারণ উপত্যকায় এখনও সক্রিয় ষড়যন্ত্রের নেপথ্য নায়ক রহস্য রহস্যময় পাকিস্তানি জঙ্গি ‘ফৌজি ভাই’।

[আরও পড়ুন: বড়সড় সাফল্য ভারতীয় সেনার, গুলির লড়াইয়ে কুলগামে ফের নিকেশ ২ জঙ্গি]

কে এই ফৌজি ভাই? করা তাকে পাঠিয়েছে? একবার বিফল হয়ে সে কি ফের হামলার ছক কষছে? এসব প্রশ্ন ঘুরছে নিরাপত্তা মহলে। কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুলওয়ামায় দ্বিতীয়বার আত্মঘাতী হামলা ঘটানোর ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছে আবদুল রহমান ওরফে ‘ফৌজি ভাই’। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো সে। ২০১৮ সালেই পাকিস্তান থেকে জম্মু-কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে আবদুল। তারপর বেশ কয়েকমাস ধরে স্থানীয় জেহাদিদের সঙ্গে মিলে সেনাবাহিনীর উপর আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করে সে। যদিও শেষমেশ তা ভেস্তে যায়। কাশ্মীরের শীর্ষ পুলিশ কর্তা আরও জানান, বুধবার রাতে পুলওয়ামায় ৪০ থেকে ৫০ কেজি RDX বিস্ফোরক বোঝাই যে স্যানট্রো গাড়িটি পাকড়াও করে নিরাপত্তারক্ষীরা, সেটি শোপিয়ান জেলার বাসিন্দা প্রাক্তন হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি হিদয়াতুল্লা মালিকের। ওই ষড়যন্ত্রে আদিল ও জাহিদ নামের জইশের দুই স্থানীয় সদস্যও জড়িত ছিল। ওই দু’জনেই ফৌজি ভাইয়ের নির্দেশে কাজ করছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, পুলওয়ামা হামলার ধাঁচেই নাশকতার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু বুধবার বিস্ফোরক বোঝায় গাড়িটি পাকড়াও করে নিরাপত্তারক্ষীরা। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি ছিল ভুয়ো। এদিন রাতে গাড়িটিকে বেশ দ্রুতগতিতেই আসছিল। গাড়ির গতি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তারা একটি চেকপয়েন্টে গাড়িটিতে থামার জন্য সিগন্যাল দেখায়। কিন্তু গাড়িটি সেই নির্দেশ মানেনি। উলটে গতি আরও বাড়িয়ে ব্যারিকেড ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা করতে পারেনি চালক। গাড়িটিকে ধরে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। তখনই জানা যায়, এর নম্বর প্লেট ভুয়ো। পুলিশের ইনসপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার জানিয়েছেন, গাড়িটি যখন ব্যারিকেড ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তখন নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালিয়েছিলেন। গুলির শব্দে চালক ভয় পেয়ে গাড়িটি রেখে পালায়। গাড়ি পরীক্ষা করার সময় বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। তারপর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

[আরও পড়ুন: শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে ৮০ জন পরিযায়ীর মৃত্যু, কেন্দ্রের চিন্তা বাড়াচ্ছে আরপিএফের তথ্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement