মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: উপত্যকায় নাশকতার বড়সড় ছক ভেস্তে দিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ৷ বুধবার উপত্যকার বারামুলা জেলা থেকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার এক জঙ্গিকে পাকড়াও করল তাঁরা৷ ধৃত জঙ্গির নাম মহম্মদ ওয়াকার৷ সে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়ানওয়ালির মিয়ানা মহল্লার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে৷ পুলিশ সূত্রের খবর, উপত্যকা অথবা ভারতের অন্য অংশে পুলওয়ামার মতোই বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা ছক কষছিল সে৷ এবং নির্বাচন চলাকালীনই এই নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল ধৃত জঙ্গি৷
[আরও পড়ুন: ১.৫ কোটির সাদা ঘোড়ায় চেপে প্রচার করছেন দিনমজুর প্রার্থী]
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কাশ্মীর পুলিশের শীর্ষকর্তা আবদুল কায়ুম জানান, ২০১৭-র জুলাই মাসে ভারতে অনুপ্রবেশ করে ধৃত জঙ্গি মহম্মদ ওয়াকার৷ এবং এতদিন ধরে শ্রীনগরে আত্মগোপন করেছিল সে৷ তার মূল লক্ষ্য ছিল, প্রথমে বারামুলা জেলার যুবকদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদের বিষ বাষ্প ছড়িয়ে দেওয়া৷ মগজধোলাই করে তাঁদের দিয়েই উপত্যকা বা দেশের অন্যপ্রান্তে বড়সড় নাশকতা চালানো৷ পুলিশ জানিয়েছে, ভারতে আসার আগে পাকিস্তানে লস্করের গোপন আস্তানায় মগজ ধোলাই করা হয় ওয়াকারের৷ সেদেশে ঘাপটি মেরে থাকা লস্করের শীর্ষ নেতারা তাকে বলে, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে সেখানকার সরকার ও সেনা৷ মুসলিমদের নমাজ পড়তে বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ মারধর করা হচ্ছে৷ এসবের প্রতিশোধ নিতে হবে৷
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভোটের আগে ৬ বছরের পুরনো মামলায় বিপাকে কেজরি ]
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিং জানান, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি আগে যেভাবে কাশ্মীরি যুবকদের মগজধোলাই করে সন্ত্রাসবাদী গড়ে তুলত৷ গত বছর থেকে তা অনেকটাই কমেছে৷ ২০১৮-তে খতম হয়েছে ২৭২ জন জঙ্গি৷ পাকড়াও হয়েছে অনেকে৷ পুলওয়ামা কাণ্ডের পর জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদমনে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে সরকার৷ এরপর থেকেই জোরকদমে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের মূল উপড়ে ফেলার কাজ করে চলেছে সেনা৷ চলতি বছর, এখনও পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে খতম হয়েছে ৬৯ জন জঙ্গি৷ যাদের মধ্যে ৪১ জনই খতম হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারির পুলওয়ামা কাণ্ডের পর৷ বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়টি উল্লেখ করেন সেনার শীর্ষ আধিকারিক লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজেএস ধিলোঁ৷ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানান, ‘‘কোনও মতেই ভারতে সন্ত্রাসবাদকে বাড়তে দেবে না সেনা৷’’
SSP Baramulla, Abdul Qayoom: His name is Mohammad Waqar, a resident of Mohalla Miana, Mianwali, Punjab, Pakistan. He came here in July 2017 by crossing the border, he was operating in Srinagar for over a year. His plan was to resurrect militancy in Baramulla. pic.twitter.com/BWUEkdQj50
— ANI (@ANI) April 24, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.