Advertisement
Advertisement

আরও এক পাক গুপ্তচর ধৃত রাজস্থানে, জারি চিরুনি তল্লাশি

তিন বছরে ধৃত ৪৬ পাক চর, জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷

Pakistani spy identified as Shoaib was arrested by Rajasthan police, other 2 spies arrested are Subhash & Ramzan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 28, 2016 12:29 pm
  • Updated:October 28, 2016 12:31 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের মাটি থেকে পাক গুপ্তচরদের নির্মূল করতে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ রাজস্থান থেকে ধৃত আর এক পাক চর শোয়েবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ জেরার জন্য তাকে দিল্লিতে আনা হচ্ছে৷ পাশাপাশি, পাক চর-চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধৃত দুই ভারতীয়কে ১২ দিনের জন্য পুলিশি রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দিয়েছে পাতিয়ালা হাই কোর্ট৷ ধৃতদের নাম সুভাষ ও রমজান বলে জানা গিয়েছে৷

সূত্রের খবর, গত তিন বছরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৪৬ জন সক্রিয় পাকিস্তানি গুপ্তচরকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ ও গোয়েন্দারা৷ তবে গ্রেফতারির সংখ্যাটা ছ’মাস আগেকার৷ কারণ, চলতি বছরের ৯ মার্চ রাজ্যসভায় এক সাংসদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের মার্চ মাস অবধি ৪৬ জন পাক চরকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ফলে গত ছ’মাসে এই সংখ্যাটা আরও বেড়েছে৷ তালিকায় নয়া সংযোজন পাকিস্তান হাই কমিশনের কর্মী-সহ এই তিন পাক চরের হাতেনাতে পাকড়াও হওয়া৷ গুজরাতের কচ্ছ এলাকা থেকে ওই দুই পাক চরকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, গত তিন বছরে ৪৬ জন পাক চর ধরা পড়েছে৷ এরা সবাই আইএসআই-এর হয়ে কাজ করছিল৷ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যেমন, এনআইএ, আইবি, র, বিভিন্ন রাজ্য পুলিশের সিআইডি ও এসটিএফ দেশের নানা প্রান্তে অভিযান চালিয়ে এই পাক চরদের গ্রেফতার করেছে৷

Advertisement

সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দফায় দফায় অনেক পাক চর ধরা পড়ে৷ গত বছর নভেম্বরে মিরাট ক্যান্টনমেন্ট থেকে ধরা পড়ে মহম্মদ কালাম ওরফে আইজাজ৷ ২৯ নভেম্বর কলকাতার গার্ডেনরিচ থেকে পাকড়াও হয় ঠিকা শ্রমিক এরশাদ আনসারি, তার ছেলে আসফাক আনসারি ও তাদের আত্মীয় মহম্মদ জাহাঙ্গির৷ এরা কলকাতার খিদিরপুরের বাসিন্দা এবং প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে এরা তিনজনই গত ১০ বছর ধরে পাকিস্তানি চর সংস্থা আইএসআই-এর বেতনভুক এজেন্ট হিসাবে কাজ করছিল৷

এরপর কাশ্মীরে ধরা পড়ে আবদুল রশিদ, কাফায়েতুল্লা খান ওরফে মাস্টার রাজা নামে আরও দু’জন আইএসআই এজেন্ট৷ ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে কড়েয়া থানা থেকে পাকড়াও করা হয় শেখ বাদলকে৷ পাক-চরবৃত্তির অভিযোগে সেনাবাহিনীর প্রাক্তন হাবিলদার মুনাওয়ার আহমেদ মির, রাইফেলম্যান ফরিদ খান গ্রেফতার হয় দিল্লি থেকে৷ তারপরও গত দশ মাসে বেশ কয়েকজন পাক গুপ্তচরকে গ্রেফতার হয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement