সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামার প্রত্যাঘাত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। রিপোর্টে প্রকাশ, পাকিস্তানের বায়ুসেনা ভারতকে প্রতিহত করতে এসেছিল। এফ-১৬ নিয়ে এসেছিল তারা। কিন্তু ভারতীয় এয়ারফোর্সের গঠন দেখে ল্যাজ গুটিয়ে পালায় তারা।
বোমারু বিমান মিরাজের সাহায্যে জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে আক্রমণ চালায় বায়ুসেনা। সূত্রের খবর, এই ধরনের বোমারু বিমান যখন টার্গেটের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন অন্য যুদ্ধবিমান সেগুলিকে এসকর্ট করে নিয়ে যায়। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ১২টি মিরাজ বোমারু বিমানকে এসকর্ট করে নিয়ে যায় বেশ কিছু সুখোই ৩০ যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনার এই বিশাল তোড়জোড়ের সামনে কার্যত ভয়ে কুঁকড়ে যায় পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান এফ-১৬। আকাশপথে পালায় পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান। কারগিল যুদ্ধে টলোলিং ও বাটালিক সেক্টরে পাকিস্তানের ত্রাস হয়ে উঠেছিল মিরাজ। যেভাবে জমিতে বোফর্স কামান ও সেনা পাকিস্তানকে শিক্ষা দিয়েছিল, একইভাবে আকাশে ভারতের হয়ে যুদ্ধ জয় করে মিরাজ।
[ বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতে নিকেশ কান্দাহার অপহরণ কাণ্ডের মূলচক্রী ]
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় নৃশংস জঙ্গি হামলায় ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই কারও বুঝতে বাকি ছিল না, এর নেপথ্যে প্রতিবেশী পাকিস্তানের কতটা মদত রয়েছে। তাকে যথাযথ শিক্ষা দেওয়ার দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহলে, প্রতিশোধ চাই – স্লোগানে একসঙ্গে সুর মিলিয়েছিলেন গোটা ভারতবাসী। পরিস্থিতি সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাঘাতের নীল নকশাও তৈরি হতে শুরু হয়েছিল দিল্লির অন্দরে। নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছিল সেনাবাহিনীর প্রতিটি শাখা। একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে পালটা জবাব দেওয়া শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা ছিল। মঙ্গলবার ভোররাতে সেই নির্দিষ্ট সময়ে ভারতীয় বায়ুসেনা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিমান অভিযান চালায়। মাত্র ২১ মিনিটে ধূলিসাৎ হয় জঙ্গিঘাঁটিগুলি। জইশ, লস্কর, হিজবুল-সহ একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস হওয়ায় কমবেশি ৩৫০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে।
[ ‘দেশের ভার নিরাপদ হাতেই রয়েছে’, প্রত্যাঘাতের পর দেশবাসীকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.