সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখের নিচে কালশিটে! ঠোঁট ফেটে বেরচ্ছে রক্ত! স্বামী শচীন মিনা মারধর করেছেন! পাকিস্তানি বধূ সীমা হায়দারের ভিডিও সামনে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্বামী-সংসার ছেড়ে সুদূর পাকিস্তান থেকে সন্তানদের নিয়ে উত্তরপ্রদেশে আসা সীমা কি তাহলে নতুন সংসারেও অসুখী? উঠে যায় প্রশ্ন। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নিজেই সামনে এসে গোটা বিষয়টি জানালেন সীমা।
ভারতে পা রাখা ইস্তক একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছেন সীমা। কখনও স্বামীর জন্য কবরা চৌথের ব্রত রেখে তো কখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করে নজর কেড়েছেন তিনি। হিন্দু যুবককে বিয়ে করার পর পুরোদস্তুর হিন্দু হয়ে উঠেছেন তিনি। নিয়মিত তুলসী তলায় পুজো করা থেকে রাম নাম জপ, সবই করেন তিনি। স্বামী শচীনও তাঁদের দারুণ ভালোবাসেন বলেও বারবার দাবি করেছেন। কিন্তু এ কী হাল! তাঁর চোখের নিচে কালশিটে কেন? খবর ছড়ায়, স্বামীর সঙ্গে বচসার জেরে নাকি মারধর করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু সত্যিই কি তাই?
Seema Haider :
ग्रेटर नोएडा में पाकिस्तानी भाभी को किसने पीटा! गहरे चोट के वीडियो वायरल #seemahaider #GreaterNoida pic.twitter.com/3VacA4dCoH
— Tricity Today (@tricitytoday) April 8, 2024
ভিডিও ভাইরাল হতেই স্বামী শচীনকে পাশে নিয়ে নতুন একটি ভিডিও পোস্ট করেন সীমা। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, এই ভিডিও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ইচ্ছাকৃতভাবে এধরনের খবর প্রচার করছে। সীমার কথায়, “আমি ভারতে এত ভালো আছি, পাকিস্তানের লোকজন সহ্যই করতে পারছে না। যোগীজির রাজ্যে মহিলারা ভীষণ নিরাপদ। আমিও তাই। আমি আমার পরিবার, স্বামীকে নিয়ে খুব ভালো আছি। আমার স্বামী আমার সন্তানদের ভীষণ ভালোবাসে। তাই ওই সমস্ত ভিডিওর তথ্য একেবারে বিশ্বাস করবেন না।” ভিডিওর শেষে, ‘জয় শ্রীরাম’, ‘রাধে রাধে’ বলতেও শোনা যায় এই দম্পতিকে।
Uttar Pradesh: Seema Haider releases a video following the viral beating video. She says, “Some Pakistani news channels are spreading lies. Pakistani media channels are not refraining from spreading falsehoods even during the holy month of Ramzan.” pic.twitter.com/37Qqjq3W3g
— IANS (@ians_india) April 8, 2024
উল্লেখ্য, গত বছর জুনে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন সীমা। ভারতীয় যুবক শচীন মিনার প্রেমে পড়ে তাঁকে বিয়ে করতেই সীমান্ত পেরিয়েছিলেন। পাবজি খেলতে গিয়ে শচীনের সঙ্গে আলাপ হয় পাকিস্তানি (Pakistan) বধূর। সেই আলাপ প্রেমে গড়াতেই চার সন্তানকে নিয়ে নেপাল ঘুরে বেআইনিভাবে ভারতে চলে আসেন তিনি। অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে সীমাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন। তবে এখনও তদন্ত চলছে সীমার বিরুদ্ধে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.