Advertisement
Advertisement

কাশ্মীরে পাক গোলাবর্ষণে শহিদ জওয়ান, নিহত ৩ সাধারণ নাগরিক

সদ্য কাশ্মীর থেকে ৭২ কোম্পানি সেনা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র।

Pakistan violates ceasefire in Uri, resorts to artillery shelling
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 26, 2019 9:46 am
  • Updated:December 26, 2019 9:47 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লংঘন করল পাকিস্তান। বুধবার রাত থেকেই কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর প্রবল গোলাবর্ষণ শুরু করেছে পাক রেঞ্জার্সরা। হামলায় শহিদ হয়েছেন এক ভারতীয় জওয়ান। নিহত তিন সাধারণ নাগরিক। হামলার পালটা দিচ্ছে ভারতীয় ফৌজ।

সূত্রের খবর, বুধবার রাত থেকেই উত্তর-কাশ্মীরের উরি সেক্টরে মর্টার হামলা শুরু করে পাকিস্তানি ফৌজ। ভারী মেশিনগান থেকে ভারতীয় সেনার পোস্ট লক্ষ্য করে অবিরাম গুলি চালাতে থাকে পাক রেঞ্জার্সরা। শুধু তাই নয়, সীমান্তে ভারতের গ্রামগুলিকে লক্ষ্য করে গোলা ছুঁড়ে পাক বাহিনী। ওই হামলায় শহিদ হয়েছেন এক ভারতীয় জওয়ান। নিহত তিন সাধারণ নাগরিক। পাক হামলায় আতঙ্ক চড়িয়েছে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন। এদিকে, পাক হামলার কড়া জবাব দিচ্ছে ভারতীয় ফৌজ। ভারতের তরফ থেকেই মর্টার ও মেশিনগান দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে ফের যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সীমান্তে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে পাক সীমান্তে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই হামলা শুরু করেছে পাকিস্তান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সূর্যের মুখ ঢাকল আঁধারে, বছরের শেষ গ্রহণের সাক্ষী দেশবাসী]

উল্লেখ্য, সদ্য জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৭২ কোম্পানি সেনা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং, কাশ্মীর থেকে সঙ্গে সঙ্গে ৭ হাজার সেনাকর্মীকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবার কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র সচিব ও মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। কথা বলা হয় ডিজিপির সঙ্গে। তাঁরা প্রত্যেকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে আশ্বস্ত করেন, পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তারপরই নেওয়া হয় সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ৭২ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে ছিল ২৪ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী (Central Armed Police Forces), ১২ কোম্পানি ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ বা আইটিবিপি (ITBP), ১২ কোম্পানি সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ(CISF) , ১২ কোম্পানি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ, ও ১২ কোম্পানি সশ্বস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement