সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাট থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ- প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটারের তটরেখা রয়েছে ভারতের। এর নিরাপত্তায় রয়েছে কোস্টগার্ড। পাশাপাশি জলসীমায় যে কোনও ধরনের দুশমনদের রুখে দিতে সদা তৈরি নৌসেনা। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের কোমর ভাঙায় অন্যতম অবদান রয়েছে ভারতীয় নৌসেনার। এয়ারক্রাফট ক্যরিয়ার, ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, সাবমেরিন নিয়ে শত্রুপক্ষে রীতিমতো ভীতি জাগায় ‘ইন্ডিয়ান নেভি’। তাই ভারতকে পঙ্গু করতে নৌসেনার যুদ্ধজাহাজে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। নৌসেনার জাহাজগুলিকে নিশানা বানাতে আত্মঘাতী ডুবুরি বাহিনী তৈরি করছে জইশ-ই-মহম্মদ।
[অগস্টা দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার ‘মিডল ম্যান’, কেলেঙ্কারি ফাঁসের ভয়ে উদ্বিগ্ন কংগ্রেস নেতারা]
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে পেশ করা এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, নৌসেনার রণতরীগুলিতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে জইশ। জঙ্গি সংগঠনটিকে মদত দিচ্ছে পাক সেনা। পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে চলছে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ। জানা গিয়েছে, ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে আত্মঘাতী ডুবুরি বাহিনীকে। রণতরীর আশপাশে মাইন ও বিস্ফোরকের ফাঁদ পাতা শেখানো হচ্ছে তাদের। প্রয়োজনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে জাহাজটিকে ধ্বংস করে দেওয়ার ট্রেনিংও দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিদের। গোয়েন্দা রিপোর্টে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, জঙ্গিদের হিট লিস্টে রয়েছে ভারতের নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত ও আইএনএস আরিঘাত। বর্তমানে ভারতের তিন পারমাণবিক ডুবোজাহাজ বিশাখাপত্তনমের ডকে নোঙর করা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে আরও জোরদার করে তোলা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, সতর্কবার্তার পর দেশজুড়ে নৌসেনা ঘাঁটিগুলিতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রণতরীর সুরক্ষায় বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় ব্যবহার করে নৌসেনা। যেমন বন্দরগুলির প্রবেশপথে সোনার সিস্টেম মোতায়েন করা রয়েছে। এতে জলের নিচে সমস্ত গতিবিধি নজরে থাকে। বিমানবাহী রণতরীগুলিকে ঘিরে থাকে সাবমেরিন ও একাধিক ‘আন্ডার ওয়াটার মনিটরিং সিস্টেম’। ফলে যুদ্ধজাহাজে হামলা সহজ নয়। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে এডেন বন্দরে নোঙর করা একটি মার্কিন রণতরীতে হামলা চালায় আল কায়দা জঙ্গিরা। নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে বিস্ফোরক বোঝাই নৌকা দিয়ে জাহাজে ধাক্কা মারে জঙ্গিরা। ওই হামলায় প্রাণ হারান ১৭ মার্কিন সেনা।
[বন্দিদের যৌনসুখ দিতে মুখমেহনে মহিলা কারারক্ষী, দেখুন ভিডিও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.