সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৫-এর পর ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে পাকিস্তান৷ করাচি, রাওয়ালপিণ্ডি, লাহোর, শিয়ালকোটে বাড়ি কিনতে পারবে দেশবাসী৷ এমনই দাবি করলেন আরএসএস-এর শীর্ষ নেতা ইন্দ্রেশ কুমার৷ ইঙ্গিত দিলেন, পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে বদলে যাবে দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র৷
[২৮ বার হেরেও লোকসভায় প্রার্থী হচ্ছেন শ্যামবাবু ]
শনিবার ‘কাশ্মীর-ওয়ে অ্যাহেড’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে ‘অখণ্ড ভারত’এর পক্ষে সওয়াল করেন আরএসএসের এই নেতা৷ বলেন, ‘‘৪৭-এর আগে পাকিস্তান ছিল না৷ তখন হিন্দুস্তান ছিল৷ ২০২৫-এর পর আবার সেই হিন্দুস্তান ফিরে আসবে৷ কাশ্মীর ইস্যুতে প্রথমবার শক্ত ভূমিকা নিয়েছে কেন্দ্রের সরকার৷ রাজনৈতিক সদিচ্ছার উপর নির্ভর করেই সেনা কাজ করে৷ এখন দিল্লিতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পরিবর্তন ঘটেছে৷ তাই আমরা লাহোরের স্বপ্ন দেখতেই পারি৷ মানস সরবরে যাওয়ার জন্য আমাদের আর চিনের অনুমতি নাও নিতে হতে পারে৷ বাংলাদেশেও আমাদের বন্ধু সরকার রয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো ভারতীয় ইউনিয়ন অফ অখণ্ড ভারত তৈরি হতে পারে৷’’ এখানেই শেষ নয়, বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইকের পর বিরোধীদের প্রমাণ চাওয়ার বিষয়টিরও এদিন সমালোচনা করেন আরএসএস নেতা৷ তিনি বলেন, ‘‘সেনার প্রশংসা করতে করতে ওরা প্রমাণ চায়৷ এবং মোদির বিরোধিতা করতে করতে ‘আই লাভ ইউ পাকিস্তান’ বলে বসে৷ এমন ‘গদ্দার’দের জন্য দেশে নয়া আইন আনা প্রয়োজন৷’’
[হিটলারের সঙ্গে মোদির তুলনা করলেন দিগ্বিজয় সিং]
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসবাদের মতো ভয়ংকর বিষয়েও চিন পাকিস্তানকে সমর্থন করছে কারণ, পাকিস্তানের দখল নিতে চায় ওরা৷ এবং ভারত বন্দুক ছাড়াই চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় করেছে৷ ডোকলাম থেকে চিনা সেনাকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে ভারতীয় সেনা৷ সমগ্র বিশ্বের চোখে চিন অপ্রতিরোধ্য হলেও, ভারত পরাজিত করেছে৷ সেকারণেই বেজিং চটে গিয়েছে৷ জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ারও এদিন সমালোচনা করেন ইন্দ্রেশ কুমার৷ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘সংবিধান এক দেশ, এক নাগরিকত্ব ও এক পতাকার কথা বলে৷ তাহলে জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে আলাদা হবে কেন? যদি সমগ্র দেশে কাশ্মীরিরা যাতায়াত করতে পারে, তবে কেন কাশ্মীরে হিন্দুরা যেতে পারবে না?’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.