সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এবার বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কার্যত হুঙ্কার দিয়ে জানালেন, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভয়ে কাঁপে পাকিস্তান। যার ফলে তাঁরা কাশ্মীরে হামলা করার সাহস পায় না। সেজন্য শান্তি বজায় রয়েছে ভারত পাকিস্তান সীমান্তে।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার পুঞ্চে ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন মুরতাজা খান। এখানেই পাকিস্তান থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজের হাতে বন্দুক ও পাথরের পরিবর্তে ল্যাপটপ তুলে দিয়েছে সরকার। মোদি সরকারের প্রশংসা করে বলেন, ‘জম্মু এলাকার পাহাড়ে বন্দুকের আওয়াজ আর যাতে শোনা না যায় সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে আমাদের সরকার।’ একইসঙ্গে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও বাঙ্কার বানানো হবে।’
এর পরই সুর চড়িয়ে বলেন, ‘আমি আপনাদের ১৯৯০ দশকের কথা মনে করাতে চাই। যখন সীমান্তের ওপার থেকে লাগাতার গোলাগুলি চালানো হত। আজ কী সেভাবে গোলাগুলি চলে?’ নিজেই এর উত্তর দিয়ে শাহ বলেন, ‘সেই ঘটনা অতীত হয়েছে। কারণ আগের শাসক পাকিস্তানের ভয়ে কাঁপত। কিন্তু এখন পাকিস্তান মোদির ভয়ে কাঁপে। গুলি চালানোর মতো সাহস ওদের আর নেই। কারণ ওরাও জানে গুলি চালালে মুখের উপর জবাব পেয়ে যাবে পাকিস্তান।’
তবে অমিত শাহ এমন দাবি করলেও বাস্তব বলছে পাকিস্তানের লাগাতার ষড়যন্ত্রে খুব একটা ভালো নেই উপত্যকা। সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছেন অসংখ্য সেনা জওয়ান। খতম হয়েছে জঙ্গিও। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের দাবি অনুযায়ী, মৃত জঙ্গির বেশিরভাগই পাকিস্তানের। শুধু তাই নয়, সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের তরফে বার বার গোলা ছোড়া হয়েছে ভারতে। সমানতালে চলেছে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও। এমনকি গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, পাক সেনার হস্তক্ষেপে বহু জঙ্গি ইতিমধ্যেই জম্মুতে প্রবেশ করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রামবাসীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনা। উপত্যকার এমন পরিস্থিতির মাঝে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দাবি কতদূর যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অবশ্য এটাও ঠিক যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দাবি করেছেন, বিজেপির ভোট প্রচারের মঞ্চ থেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.