ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালোবাসার টানে সুদূর পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে। বিয়ে করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের শচীন মিনার সঙ্গে। তখন থেকেই নানা কারণে শিরোনামে সীমা হায়দার। কিন্তু তাঁদের বিয়ে নাকি বৈধই নয়! কারণ প্রথম স্বামীর সঙ্গে সীমার আইনি বিচ্ছেদই হয়নি। এমন দাবি তুলেই নয়ডার এক পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন গুলাম হায়দার। আর সেই মামলাতেই এবার সীমাকে তলব করল আদালত।
করাচির বাসিন্দা গুলামের আইনজীবী নয়ডার আদালতে সীমার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে, তাতে দাবি করেছেন যে শচীনের সঙ্গে সীমার বিবাহ বৈধ নয়। কারণ পাকিস্তান ছেড়ে আসার সময় গুলামের সঙ্গে তাঁর আইনিভাবে বিচ্ছেদ ঘটেনি। পাশাপাশি নিজের চার সন্তানের ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধেও সওয়াল করেছেন গুলামের আইনজীবী। এই মামলায় আগামী ২৭ মে-র মধ্যে সীমাকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সন্তানদের ফিরে পেতে নামী পাক আইনজীবী আনসার বার্নির দ্বারস্থ হন গুলাম। এর পরই ভারতের আলি মোমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকেই গুলামের হয়ে মামলা করার অনুমতি দেন আনসার। নয়ডার পারিবারিক আদালতে আলি মোমিনের আবেদনের শুনানিতেই আদালত সমন পাঠায় সীমাকে।
উল্লেখ্য, পাবজি খেলতে গিয়ে একে-অপরের প্রেমে পড়েন সীমা-শচীন। গত বছর জুনে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসে শচীনের সঙ্গে বিয়ে করেন সীমা। চার সন্তানকে নিয়ে নেপাল ঘুরে বেআইনিভাবে ভারতে চলে আসেন তিনি। অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে সীমাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন। তবে এখনও তদন্ত চলছে সীমার বিরুদ্ধে। এবার আদালতের শমল পেলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.