সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসা সত্বেও সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যেতে হল না পাকিস্তানি কূটনীতিকের স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে। সৌজন্যে বিদেশমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ। ওই কূটনীতিকের স্ত্রী এবং সন্তানদের অমৃতসরে কোয়ারেন্টাইনে না রেখে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লিতে। সেখানে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তাঁরা।
পাঞ্জাবের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়ছেন, “এক পাকিস্তানি কূটনীতিকের স্ত্রী এবং তাঁর দুই সন্তান আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছেন। ওঁদের অমৃতসরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে না। তাঁদের সরাসরি দিল্লি পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।” তিনি জানিয়েছেন, ২৩ এবং ২৬ মে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের কূটনীতিবিদদের পরিবারের যে সদস্যরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের দিল্লি পাঠিয়ে দিতে অনুরোধ করেছে বিদেশমন্ত্রকই। পাঞ্জাব সরকারকে পাঠানো বিদেশমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, নয়াদিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাস বিদেশমন্ত্রককে জানিয়েছে, ওই কূটনীতিকের পরিবারের সদস্যরা করোনা সংক্রমিত না হওয়ার প্রমাণপত্র সঙ্গে করেই ভারতে আসবেন। আর নির্দেশিকা মেনেই কাগজপত্র জমা দেবেন। তাই তাঁদের সরাসরি দিল্লিতে পাক দূতাবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। সেখানেই ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাঁদের।
বিদেশ থেকে যে ভারতে এলেই ১৪ দিনের জন্য যেতে হবে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। করোনা আবহে এমনই নিয়ম করেছে ভারত সরকার। তবে, এর আওতায় নেই বিদেশি কূটনীতিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছে সরকার। তাঁরা যদি সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে করোনা সংক্রমিত না হওয়ার প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে তাঁদের সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যেতে হবে না। হোম কোয়ারেন্টাইনে গেলেই হবে।গত ১৪ মে এই নিয়ম চালু করে কেন্দ্র সরকার। সেই নিয়মের প্রথম সুবিধা পেলেন এই পাকিস্তানি কূটনীতিবিদের পরিবারের সদস্যরা।কিন্ত এই মহামারির পরিস্থিতিতে পাক কূটনীতিকদের প্রতি এই সদ্ভাব কেন? প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.