সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। দেশব্যাপী আন্দোলন ও প্রতিবাদের মাঝেই এবার চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় কড়া আইনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন পদ্ম পুরস্কার পাওয়া ৭০ জন চিকিৎসক। পাশাপাশি এই নৃশংস ঘটনায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
মোদিকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে চিকিৎসকরা লিখেছেন, আরজি কর হাসপাতালে যা ঘটেছে তাতে স্পষ্ট যে এই ধরনের নৃশংসতা প্রতিরোধ করতে যত দ্রুত সম্ভব কড়া পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। দেশের সাংসদ, নীতি নির্ধারক সংস্থাগুলির কাছে আমাদের আবেদন অবিলম্বে এই বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার। চিকিৎসকদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা রুখতে ২০১৯ সালে ‘দ্য প্রিভেনশন অফ ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট ডক্টরস, মেডিক্যাল প্রফেশনালস অ্যান্ড মেডিক্যাল ইনস্টিটিউশন বিল’ প্রস্তুত করা হয়েছিল। যা এখনও পর্যন্ত সংসদে পেশ হয়নি। চিকিৎসকদের দাবি, দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন তাঁরা যাতে নির্ভয়ে রোগীদের পরিষেবা দিতে পারেন তার জন্য অবিলম্বে এই বিল পাশ করানো হোক।
এছাড়া কলকাতায় চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের দেশের সর্বোচ্চ নেতা হিসাবে আপনার কাছে আমাদের নিবেদন, এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপনি অবিলম্বে এবং ব্যক্তিগত ভাবে হস্তক্ষেপ করুন। এই ধরনের বর্বরতা চিকিৎসাকদের সেবার ভিত্তিকে নাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে যে সব নারী স্বাস্থ্যসেবা পেশার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে এই ধরনের সহিংসতা মোকাবিলার জরুরি প্রয়োজনে পদক্ষের করা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এই চিঠিতে স্বাক্ষর করা বিশিষ্ট চিকিৎসকরা হলেন, ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ডঃ অশোক শেঠ, দিল্লি এইমসের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া, মহাজন ইমেজিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ হর্ষ মহাজন, ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সেসের ডিরেক্টর ডাঃ এস কে সারিন, এইমস দিল্লির এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের প্রধান ডঃ নিখিল ট্যান্ডন এবং মেদান্ত দ্য মেডিসিটির ইনস্টিটিউট অফ ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড হেপাটোবিলিয়ারি সায়েন্সেসের চেয়ারম্যান ডঃ রণধীর সুদ-সহ আরও অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.