Advertisement
Advertisement

Breaking News

তিহার জেলে চিদম্বরম

হাসিমুখে জেলে গেলেন চিদম্বরম, তিহারেই কাটাতে হবে জন্মদিন

জেলে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না চিদম্বরমকে।

P Chidambaram spent the first night at jail no. 7 at Tihar
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 6, 2019 11:41 am
  • Updated:September 6, 2019 11:41 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যে আশঙ্কাটা করছিলেন সেটাই হল। শুরু থেকেই তিহারে যেতে আপত্তি ছিল পি চিদম্বরমের। কিন্তু, সেসব আপত্তি শুনল না আদালত। সিবিআই চিদম্বরমকে হেফাজতে না চাওয়াই শেষপর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে যেতে হল তাঁকে। যার পরিণতি স্বরূপ তিহার জেলে রাত কাটাতে হচ্ছে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার চিদম্বরমকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিহার জেলেই থাকবেন তিনি।

 

[আরও পড়ুন: অবশেষে স্বস্তি চিদম্বরমের, আদালতে মঞ্জুর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর আগাম জামিন]

যদিও, জেলযাত্রার খবর পাওয়া সত্ত্বেও স্বভাবসিদ্ধ চিদম্বরম। অন্তত ক্যামেররা সামনে একটুও বিচলিতভাব বোঝা গেল না তাঁর। তিহার জেলে যাওয়ার সময় হাসিমুখে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়লেন তিনি। জেলযাত্রার দিনও মোদি সরকারকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন চিদম্বরম। জেলযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হাসিমুখে তিনি সাংবাদিকদের বললেন, “আমি শুধু অর্থনীতি নিয়েই চিন্তিত।”

তিহার জেলের ডাল-ভাত আর সবজি-রুটিতে দিন কাটাতে রাজি ছিলেন না তিনি। এদিকে, সিবিআই হেফাজতেও ১৫ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আর তাঁকে হেফাজতে রাখতে পারে না সিবিআই। চিদম্বরমের ধারণা ছিল, সিবিআই হেফাজতে না নিলেও ইডি এবার তাঁকে হেফাজতে নেবে। কিন্তু, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁকে গ্রেপ্তার করার কোনও ইচ্ছপ্রকাশ করেনি। শেষপর্যন্ত ১৪ দিনের জন্য তিহারেই যেতে হয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে। এর মধ্যেই তাঁর জন্মদিনও পড়ছে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর নিজের জন্মদিনটাও জেলেই কাটাবেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। সম্ভবত, এই প্রথম কোনও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জেলে যেতে হল।

[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মায়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি মুফতিকন্যাকে]

তিহারের ৭ নং জেলে ঠাঁই হয়েছে চিদম্বরমের। জেল নম্বর ৭- সাধারণত থাকে আর্থিক এবং যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তরা। তাঁর ছেলে কার্তিও এই কুঠুরিতেই ছিলেন। চিদম্বরমকে কোনও ভিআইপি ট্রিটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর জন্য একটা আলাদা কুঠুরি বরাদ্দ হয়েছে। আর বরাদ্দ করা হয়েছে বিলেতি শৌচাগার। তাঁকে এখন খেতে হবে জেলের খাবার (ডাল, একটি সবজি আর ৪-৫টি রুটি)। চাইলে, জেলের ক্যান্টিনে স্ন্যাকস খেতে পারবেন তিনি। সঙ্গে রাখতে পারবেন ওষুধ ও সংবাদপত্র। বাড়ি থেকে আনা পোশাক পরতে পারবেন। তবে, তাঁকে ঘুমোতে হচ্ছে কাঠের চৌকিতেই।প্রথম রাতে বেশ অশান্ত ছিলেন চিদম্বরম। দফায় দফায় তাঁর ঘুম ভেঙে যায় বলেও খবর। আজ সকালে তাঁকে জেলের নিয়ম মতো চা, পোহা আর রুটি দেওয়া হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement