Advertisement
Advertisement

Breaking News

হঠাৎ বন্ধ হাসপাতালের অক্সিজেন সরবরাহ, বেঘোরে মৃত ১৭ জন

মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোরে।

Oxygen supply interrupted, 17 killed in Indore Hospital
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 23, 2017 1:59 pm
  • Updated:June 23, 2017 1:59 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে মোদি সরকার যখন কৃষিতে দেশের উন্নতির বিজ্ঞাপন প্রচার করছে, তখন বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশে কৃষিঋণ মকুবের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা। মান্দসৌরে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে সাতজন প্রতিবাদী কৃষকের। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয়, যে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে অনশনেও বসেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান। আর এবার সে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল অবস্থাটাও প্রকাশ্যে চলে এল। অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, ইন্দোরের একটি হাসপাতালে বেঘোরে মৃত্যু হল ১৭ জন রোগীর। মৃতের মধ্যে আছে দু’জন শিশুও।

[স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস স্বামীর, তারপর…]

Advertisement

জানা গিয়েছে, ইন্দোরের মহারাজা যশোবন্ত রাও হাসপাতালে শুক্রবার ভোরে প্রায় মিনিট পনেরো অজ্ঞাতকারণে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ ছিল। আর তাতেই দু’জন শিশু-সহ ১৭ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আর এই ঘটনার পরই মৃত রোগীদের যাবতীয় নথি, এমনকী অক্সিজেন সরবরাহ সংক্রান্ত লগ বুকটিও হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। বস্তুত ইন্দোরের এই মহারাজা যশোবন্ত রাও হাসপাতালে অক্সিজেন সরবারহ পরিষেবা যে ঠিক নেই, তা আগেও টের পাওয়া গিয়েছিল। গত বছরের মে মাসে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই শিশুকে অক্সিজেনের বদলে নাইট্রোজেন দেওয়া হয়। যার জেরে দুই শিশুরই মৃত্যু হয়। কিন্তু সেই ঘটনার পরেও হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের যে হুঁশ ফেরেনি, এই ঘটনাতেই তা প্রমাণ হয়ে গেল।

[এবার নজরদারি সোশ্যাল মিডিয়ায়, আসছে নতুন আইন]

শুধু মধ্যপ্রদেশই নয়, গোটা মধ্য ভারতেরই সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল ইন্দোরের মহারাজা যশোবন্ত রাও হাসপাতাল। আর সেই হাসপাতালে এই অক্সিজেন বিভ্রাটের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।  ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছেন সাংবাদিকরাও। যদিও অক্সিজেন বিভ্রাটের কথা স্বীকার করতে রাজি নয় যশোবন্ত রাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডিভিশনাল কমিশনার সঞ্জয় দুবে বলেন, ‘হাসপাতালে অক্সিজেন পরিষেবায় কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। ১৪০০ বেডের এই হাসপাতালে ১৭ জন রোগীর মৃত্যু রুটিন ঘটনা। এমনিতেই হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ জন রোগীর মৃত্যু হয়।’ জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগীকে অক্সিজেন দিতে হয়। একটি পাইপের  মাধ্যমে প্রায় সবকটি ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। ডিভিশনাল কমিশনার সঞ্জয় দুবের যুক্তি, যদি হাসপাতালে অক্সিজেন সরবারহ বন্ধ হয়ে যেত, তাহলে বাকি রোগীরাও তো মারা যেতেন।যদিও এ ঘটনা যে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, তার সদুত্তর মেলেনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement