ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪২ কোটি থেকে ৫২৮ কোটি। এক বছরে ইলেক্টরাল বন্ডের (Electoral Bond) মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের রোজগার বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। দলের অডিট রিপোর্টেই এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ওই অডিটেই দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের মোট আয়ের ৯৬ শতাংশই।
২০২০-২২ অর্থবর্ষের আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ইলেক্টরাল বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের রোজগার হয়েছে ৫২৮ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। ঠিক আগের বছর অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তৃণমূলের (TMC) তহবিলে প্রায় ৪২ কোটি টাকা এসেছিল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে। অর্থাৎ এক বছরে নির্বাচনী বন্ডে এরাজ্যের শাসকদলের রোজগার বাড়ে গিয়েছে ১২ গুণ।
অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তৃণমূলের মোট আয় ছিল প্রায় ৫৪৫ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা। এর প্রায় ৯৬ শতাংশই এসেছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে। বাকি ১৪ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা এসেছে দলের সদস্যদের দেওয়া চাঁদা, দলের মুখপাত্র ‘জাগো বাংলা’ (Jago Bangla) এবং অন্যান্য অর্থসংগ্রহের কর্মসূচির মাধ্যমে। শুধু আয় নয়, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের বছরে তৃণমূলের খরচও বেড়েছে অনেকটা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে যেখানে তৃণমূলের খরচ হয়েছিল ১৩২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা, সেখানে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ২৬৮ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা।
রাজনৈতিক দলগুলির তহবিল সংগ্রহে স্বচ্ছতা আনার জন্য নির্বাচন কমিশনই ইলেক্টরাল বন্ড চালু করেছিল। এই বন্ডের মাধ্যমে চাঁদা আদায় পুরোপুরি বৈধ এবং স্বচ্ছ। সুতরাং নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রোজগার বাড়াটা দলের স্বচ্ছতারই প্রমাণ বলে দাবি করেছে তৃণমূল। সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen) বলছেন, “আমাদের দল সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা রাখে। এ ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা বজায় রেখেই নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করা হয়েছে।” তাছাড়া ইলেক্টরাল বন্ডের মাধ্যমে চাঁদা পাওয়াটাকে দলের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি হিসাবেই দেখছে এরাজ্যের শাসকদল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.