ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মহামারি এবং লকডাউনে সবচেয়ে বেশি যারা সমস্যায় পড়েছিলেন, তাঁরা হলেন পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Workers)। ভিনরাজ্য গিয়ে কাজ, বাসস্থান হারিয়ে অনাহারে দিক কাটাতে হয়েছে বহু মানুষকে। লকডাউনের পর দীর্ঘদিন শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার কোনও ব্যবস্থা করেনি সরকার। বাধ্য হয়ে কেউ ফিরেছেন পায়ে হেঁটে, আবার কেউ ফিরেছেন সাইকেল চেপে। দীর্ঘদিন বাদে সরকারের ঘুম ভাঙলেও, বোধোদয় হয়নি। সরকার শ্রমিকদের ফেরার অনুমতি দিলেও তাঁদের বাড়ি ফেরার উপযুক্ত ব্যবস্থা হয়নি। ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ (Shramik Special) ট্রেন এবং কিছু বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল বটে। কিন্তু সেজন্যও মোটা অঙ্কের ভাড়া গুণতে হয়েছে শ্রমিকদের। অন্তত সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তেমনটাই দাবি করা হয়েছে।
The Stranded Workers Action Network নামের একটি সংগঠন শুক্রবার একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। যাতে দাবি করা হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ এখনও বাড়ি ফেরেননি বা ফিরতে পারেননি। যে ৩৩ শতাংশ বাড়ি ফিরতে পেরেছেন, তাঁদের মধ্যে ৮৫ শতাংশকে নিজেদের ভাড়া নিজেদের দিতে হয়েছে। ৬২ শতাংশকে ভাড়া হিসেবে গুণতে হয়েছে দেড় হাজার টাকারও বেশি। যারা ভিনরাজ্যে আটকে আছেন তাঁদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ বাড়ি ফিরতে চান, কিন্তু এখনও বাড়ি ফেরার মতো বন্দোবস্ত করতে পারেনি সরকার।
‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেনের পুরো ভাড়া শ্রমিকদের দিতে হবে না। শুধুমাত্র Standard faree দিতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকে। যা কিনা মোট ভাড়ার ১৫ শতাংশ মাত্র। বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে সদর্পে একথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। অনেক রাজ্য সরকারও দাবি করেছিল, তাঁরা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার সব খরচ বহন করবে। সেই তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গও। দলগতভাবে কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা করা হয়, তাঁরা পরিযায়ীদের বাড়ি ফেরার ট্রেন ভাড়া দেবে। কিন্তু কোথায় কী? এই সমীক্ষা যদি বিশ্বাস করতে হয়, তাহলে বাস্তব অন্য কথা বলছে। শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে সরকার থেকে বিরোধী, সকলেই শুধু দাবি করে গিয়েছে। কাজের কাজ হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.