সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গলে এই পশুকে দেখার রোমাঞ্চই আলাদা। যাঁদের জঙ্গলে যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না তাঁদের গন্তব্য হয় চিড়িয়াখানা। খাঁচাবন্দি এলাকা হলেও, বাঘ যতই বুড়ো হোক বা নেতিয়ে যাক সে যে পশুদের অঘোষিত রাজা। দেমাক, চালচলনে তার জুড়ি মেলা ভার। দর্শক টানতে এখনও বাঘই অন্যতম ভরসা। তবে ভারতের চিড়িয়াখানাগুলিতে থাকা বাঘ বাহাদুররা এখন অস্তিত্বের লড়াইয়ে পড়েছে। প্রতি বছর দেশের জু-গুলিতে উদ্বেগজনকভাবে কমছে বাঘের সংখ্যা। গড়ে সংখ্যাটা ২০। অচেনা এক রোগে ব্যাঘ্রকুল একেবারে কাবু হয়ে পড়েছে।
ধীর গতি হলেও ভারতের বনাঞ্চলে বাড়ছে বাঘের সংখ্যা। অথচ দেশের চিড়িয়াখানাগুলিতে ঠিক উল্টো ছবি। প্রতি বছর গড়ে সেখানে অন্তত ২০টি বাঘ মারা যাচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ান জু অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ ভেটেরিনারিয়ানসের রিপোর্টে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। গত আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। শুধু ২০১৬ সালেই ১৬টি সাদা বাঘ এবং ২৮টি অন্য প্রজাতির বাঘ মরে যায়।
এই মুহূর্তে ভারতের চিড়িয়াখানাগুলিতে ২৪৫টি বাঘ এবং ৯৯টি সাদা বাঘ রয়েছে। দেশের বড়, মাঝারি, ছোট মিলিয়ে ৬০টি চিড়িয়াখানায় রয়েছে বাঘগুলি। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে ২৭টি চিড়িয়াখানায়। ওই সংস্থার মতে, গত চার বছরে বাঘের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমছে। ২০১১ সালে দেশের জু-গুলিতে বাঘ বাহাদুরদের সংখ্যা ছিল ২৯৫। চার বছরের মধ্যে সংখ্যাটা নেমে এসেছে ২৪৫-এ। বাঘের এই দুর্দশার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যাচ্ছে অচেনা কিছু রোগে তারা নাজেহাল। যার ফলে বাঘেদের স্নায়ুতন্ত্র কাবু হয়ে পড়ছে।
বাঘেদের আয়ু মেরেকেটে ২৩ বছর। তবে বাঘেদের জন্মের প্রথম একটা বছর খুবই সতর্ক থাকতে হয়। কারণ এই সময়ের মধ্যে অন্তত ৪৫ শতাংশ ব্যাঘ্রশাবক মরে যায়। ভারতে চিড়িয়াখানাগুলিতে দেখা যাচ্ছে প্রথম বছরে মৃত্যুহার খুব বেশি নয়। তবে একটু বয়স বাড়ার পর থেকে বাঘেদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে। এর দাওয়াই কী হবে তা নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে ওই সংস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.