সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশাল মিডিয়ায় প্রেমের ফাঁদ। আর না বুঝে সেই ফাঁদে পা দিয়ে নিজের সর্বনাশ নিজেই ডেকে আনলেন উত্তরপ্রদেশের অর্ডিন্যান্স কারখানার এক কর্মী। পাকিস্তানের আইএসআই-কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ এটিএসের হাতে ফিরোজাবাদ থেকে গ্রেপ্তার রবীন্দ্র কুমার নামে ওই যুবক। তার মোবাইল ঘেঁটে তদন্তকারীরা গুপ্তচরবৃত্তির কথা জানতে পেরেছেন। ফেসবুকে আলাপ হওয়া এক তরুণীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে রবীন্দ্র এমন একাধিক তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছে, যা এদেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বড় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের।
জানা গিয়েছে, নেহা শর্মা নামে এক যুবতীর সঙ্গে বছর খানেক আগে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল রবীন্দ্রর। এরপর ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, ফোন নম্বর আদানপ্রদান হয়। প্রেমিকার পরিচয় গোপন রাখতে অন্য নামে তাঁর ফোন নম্বর মোবাইলে সেভ করেছিলেন রবীন্দ্র। সেই নাম ছিল ‘চন্দন স্টোরকিপার ২’। প্রেমে মজে রবীন্দ্র ওই মেয়েকে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির একাধিক তথ্য সরবরাহ করতে থাকে। মূলত হোয়াটসঅ্যাপে এই আদানপ্রদান হতো। সেসব ডিজিটাল নথি হাতে এসেছে উত্তরপ্রদেশ এটিএসের হাতে।
তদন্তকারীদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, ফেসবুকে আলাপ-পরিচয়ের পর রবীন্দ্র জানতেন যে নেহা শর্মা নামে ওই মহিলা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে যুক্ত। তারপরও তাঁর প্রেমের জালে জড়িয়ে পড়েন অস্ত্র কারখানার ওই কর্মী। ফিরোজাবাদের ওই কারখানার রিকুইজিশন লিস্ট, স্ক্রিনিং কমিটির গোপন চিঠি থেকে শুরু করে ড্রোন, গগনযান প্রকল্পের নানা জরুরি তথ্য হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য নেহার মাধ্যমে সোজা পৌঁছে যেত আইএসআই-এর কাছে। এমনকী আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও রবীন্দ্র জানাত নেহাকে। সরাসরি আইএসআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল রবীন্দ্রর। এসব তথ্য পেয়ে রীতিমতো চোখ কপালে এটিএসের দুঁদে গোয়েন্দাদের। তাকে গ্রেপ্তার করে গোটা বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কোন কোন তথ্য পাক গুপ্তচর সংস্থার হাতে পৌঁছেছে, তা থেকে আদৌ কোনও ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হয়েছে কিনা, সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.