সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আত্মনির্ভর ভারত’। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। তবে, কোথায়, কোন খাতে, কত টাকা কীভাবে খরচ হবে, সে সংক্রান্ত কোনও বিস্তারিত তথ্য তিনি দেননি। আর সেটা হাতিয়ার করেই এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই ঘোষণা শুধু সংবাদমাধ্যমে শিরোনামে আসার জন্য। এতে সাধারণ মানুষের কোনও উপকার হবে না।
1/2
मा. मोदी जी,आपने सम्बोधन से मीडिया को ख़बर बनाने को “हेडलाइन” तो दे दी पर देश को “मदद की हेल्पलाइन” का इंतज़ार है।
वादे से हक़ीक़त तक का सफ़र पूरा होने का इंतज़ार रहेगा।
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) May 12, 2020
কংগ্রেস (Congress) মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল বলছেন, “আশা করছি এই ২০ লক্ষ টাকা প্যাকেজের কথা সেই পেন দিয়ে লেখা হয়নি, যেটা দিয়ে প্রত্যেক ভারতবাসীকে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা লেখা হয়েছিল। ১০০ দিনের মধ্যে কালো টাকা ফিরিয়ে আনার কথা লেখা হয়েছিল। মা গঙ্গাকে স্বচ্ছ করার কথা লেখা হয়েছিল। নোট বাতিলের মাধ্যমে সন্ত্রাস শেষ করার কথা লেখা হয়েছিল।” দলের প্রধান মুখপাত্র রনদীপ সিং সুরজেওয়ালা আবার বলছেন,”আপনি সংবাদমাধ্যমকে হেডলাইন দিয়ে দিলেন, কিন্তু দেশ আপনার ‘হেল্পলাইন’-এর অপেক্ষা করছে।”
তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) তরফে বলা হচ্ছে,’প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চকচকে কাগজের মোড়ক। মোড়কের ভিতর থেকে কোন জিন বেরোবে তা জানা যাবে কাল কিংবা পরশু। তাঁরা বলছে এই প্যাকেজ অসম্পূর্ণ এবং হতাশাজনক। প্যাকেজ কীভাবে ব্যবহৃত হবে তার কোনও দিশা নেই। কংগ্রেসের জোট সঙ্গী এনসিপির (NCP) নেতা নবাব মালিক বলছেন, “আগে দেখা যাক কী আছে এতে। আশা করব পুরো প্যাকেজটা বিহারমুখী হবে না।” বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী তথা অধুনা মহারাষ্ট্রের শাসকদল শিব সেনা বলছে,”এই ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু রাজ্যের যে জিএসটির টাকা বকেয়া আছে সেটা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর কিছু বলা উচিত ছিল। PM CARES তহবিল তথ্যের অধিকার আইনে নেই কেন? সেটা নিয়েও কিছু বলা উচিৎ ছিল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.