সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা কোনওরকম সরকার বিরোধী আন্দোলন– যেমন ধর্মঘট, ধরণা, সভা বা মিছিল করতে পারবে না বলে মোদি সরকারের তরফে যে ‘ফতোয়া’ জারি করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে চরম আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিল বামেরা। কেন্দ্রের নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছে তৃণমূলও (TMC)। কেন্দ্রের এই নির্দেশ বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন জলসম্পদ ও পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা (Manas Bhunia)। কেন্দ্রের নির্দেশিকা কর্মীদের অধিকারে হস্তক্ষেপ। তাঁরা এই নির্দেশিকা মানবেন না বলে জানিয়েছেন সিটুর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তপন সেন।
নিজেদের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দপ্তরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, কর্মচারীরা কোনওরকম ধর্মঘট, গণ ক্যাজুয়াল লিভ, অবস্থান বা ধরনা করতে পারবে না। সরকারে বিরুদ্ধে কোনওরকম প্রতিবাদ করলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে কর্মচারিরা প্রতিবাদ করলেই তার চরম ফল ভোগ করতে হবে। বেতনে কোপ তো পরবেই, সেইসঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
সমস্থ মন্ত্রকের সচিবদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে বিষয়টি কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। পুরনো পেনশন প্রকল্প ফেরানোর দাবিতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলন শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। সেই আন্দোলন দমন করতেই কেন্দ্রের এমন ফতোয়া বলে মনে করছে শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন। সিটুর (CITU) সাধারণ সম্পাদক তপন সেন এক বিবৃতি দিয়ে জানান, ন্যাশানাল জয়েন্ট কাউন্সিলের তরফে কেন্দ্র বিরোধী যে আন্দোলন চলছে তা দমন করতেই এমন নির্দেশিকা। সরকারের দমনমূলক মনোভাবের আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াতে কর্মীদের কাছে আবেদন করা। সেইসঙ্গে নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিও করা হচ্ছে।
তৃণমূলের সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা মানস ভুঁইঞার কটাক্ষ, যখন অন্য রাজ্যে পেনশন তুলে দেওয়া হচ্ছে, তখন রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার পেনশন চালু রেখেছেন মানুষের কথা ভেবে। রাজ্যে যাঁরা সরকার বিরোধী আন্দোলন করছেন তাঁরা এবার দেখুক কেন্দ্রীয় সরকার কতখানি অমানবিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.