সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আদানির (Adani Issue) সংস্থায় ‘বেনিয়মে’র অভিযোগ এবার সংসদে। বিরোধীরা আলোচনার দাবি জানাতেই মুলতুবি করে দেওয়া হল সংসদের দুই কক্ষই। প্রথমে লোকসভা এবং পরে রাজ্যসভা দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়। প্রতিবাদে বিজয় চকে এসে বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী সাংসদরা।
আদানি ইস্যুর আঁচ যে সংসদে পড়তে চলেছে সেটা অবশ্য দিনের শুরুতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এদিন সকালেই রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের (Mallikarjun Kharge) ঘরে সম্মিলিত বিরোধী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আদানি ইস্যুতে আলোচনার জন্য সরকারকে চাপ দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী একাধিক সাংসদ এই ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদে নোটিসও দেন। বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, হিন্ডেবার্গের রিপোর্ট সামনে আসার পর একটি বিশেষ সংস্থার শেয়ারে ধস নামা শুরু করেছে। যার ফলে অনেক সাধারণ মানুষের মাথায় হাত। জনতার কথা মাথায় রেখে এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা প্রয়োজন। কিন্তু সরকারপক্ষ আলোচনায় রাজি না হওয়ায় বিরোধীরা হট্টগোল বাঁধিয়ে দেন। এরপরই মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষ।
অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পর যৌথভাবে বিজয় চকে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের দাবি, হয় যৌথ সংসদীয় কমিটি নাহয় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির অধীনে তদন্ত করতে হবে। তিনি বলেন,”আমরা ওই ইস্যুতে সংসদে আলোচনা চেয়েছিলাম। আমরা যখনই গুরুত্বপূর্ণ কোনও ইস্যুতে আলোচনা করতে চাই, আমাদের দাবি নাকচ করে দেওয়া হয়। গরিব মানুষের টাকা LIC, SBI এবং অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন। তাঁরা নিজেদের সঞ্চয় হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন। বহু সরকারি প্রকল্পে আদানিরা বিনিয়োগ করেছে। অথচ, সেই সংস্থাতেই বেনিয়ম।” খাড়গের সঙ্গে সুর মেলান অন্য বিরোধী সাংসদরাও।
এদিকে, আদানিদের শেয়ারে পতনের কারণ কী? আদৌ কোনও গরমিল আছে কিনা সেসব খতিয়ে দেখবে সেবি। সরকারিভাবে এখনও সেবির তরফে কিছু না বলা হলেও সূত্রের খবর আদানিদের যে ৭টি সংস্থা বড় লোকসানে চলছে, সেই সাতটি সংস্থার সাম্প্রতিক হিসেব-নিকেশ খতিয়ে দেখবে SEBI। অন্যদিকে আম্বানিদের শেয়ারে ধসের প্রভাব রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাংকগুলির উপর কোনও প্রভাব ফেলছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা শুরু করছে রিজার্ভ ব্যাংক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.