নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস (Congress) এবং তৃণমূলের সমীকরণে ফের বদলের ইঙ্গিত! সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণ শুরুর আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বৈঠকে হাজির হলেন তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা।
সংসদের বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিন শুরুর আগে আজ রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সব বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন। তাতে ডিএমকে (DMK), এনসিপি (NCP), শিব সেনা উদ্ধব ঠাকরের মতো বেশ কয়েকটি দল প্রত্যাশিতভাবেই উপস্থিত ছিল। তবে এদিনের এই বৈঠকে দু’টি দলের উপস্থিতি ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এক, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দুই, আম আদমি পার্টি। তৃণমূলের তরফে খোদ দলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) এবং রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ‘ব্রায়েন (Derek O’Brien) এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আপের তরফে সঞ্জয় সিং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। খাড়গের ডাকা বৈঠকে এই দুই দলের উপস্থিতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আসলে এর আগে সংসদের বেশ কয়েকটি অধিবেশনে তৃণমূল খুব সচেতনভাবেই কংগ্রেসের সঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছে। ইস্যু এক হলেও বিরোধী শিবিরের দুই অন্যতম শক্তিকে আলাদা আলাদাভাবে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে। কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকগুলিও এড়িয়ে যেত তৃণমূল। কোনও কোনও বৈঠকে তৃণমূল উপস্থিত থাকলেও দ্বিতীয় সারির কোনও সাংসদকে প্রতিনিধি হিসাবে পাঠানো হত। কিন্তু গত শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতে ছবিটা বদলায়। শীতকালীন অধিবেশনের আগে খাড়গের ডাকা বৈঠকে হাজির ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একইরকমভাবে খাড়গের বৈঠকে হাজির তৃণমূলের (TMC) দুই শীর্ষ নেতা।
তাহলে কি ফের বদলাচ্ছে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের (Congress) মধ্যেকার রাজনৈতিক সমীকরণ? কদিন আগেই কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। যা নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। বিজেপি বিরোধিতায় তৃণমূলের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। যদিও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তাঁর কাছে কোনও আমন্ত্রণপত্র আসেনি। সেসব পর্ব মিটতে না মিটতেই সংসদে ফের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার ইঙ্গিত মিলল দুই শিবিরের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.