সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগেই জানানো হয়েছিল, কাশ্মীরে ঢুকে শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করবেন না। সেই নিষেধাজ্ঞা না মেনেই কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টা করেন রাহুল গান্ধী-সহ ৯টি রাজনৈতিক দলের ১১ জন নেতা। প্রত্যাশিতভাবেই তাদের উপত্যকায় ঢুকতে দেওয়া হল না। ফিরিয়ে দেওয়া হল শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই।
কাশ্মীরের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা এবং উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলির পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে শনিবার দুপুরে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা হয় বিরোধীদের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ, কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, ডিএমকের ত্রিরুচি শিবা, আরজেডির মনোজ ঝাঁ, তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী। প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির এক প্রতিনিধিও। ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা শরদ যাদব।
রাহুল গান্ধীর কাশ্মীরে যাওয়ার কর্মসূচি নেওয়ার পর থেকেই প্রশাসনের তরফে নানাভাবে তাঁকে না যেতে আরজি জানানো হয়। জম্মু-কাশ্মীর তথ্য ও জনসংযোগ মন্ত্রকের তরফে টুইট করে বলা হয়, “বর্ষীয়ান নেতাদের এমন কোনও প্রচেষ্টা করা উচিত নয় যাতে কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত হয়। রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন, এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে আসবেন না।” কিন্তু, এই নিষেধাজ্ঞা মানেননি রাহুলরা। আসলে, কিছুদিন আগেই কাশ্মীরের রাজ্যপাল রাহুলকে কাশ্মীরে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেই এদিন শ্রীনগর যান প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। এবং প্রশাসনের তরফে শ্রীনগর বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয় তাঁকে।
এদিকে, ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর এই প্রথম কাশ্মীরের প্রথমসারির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করল কেন্দ্র। শনিবার কেন্দ্রের তরফে একটি প্রতিনিধিদল শ্রীনগরে গিয়েছে মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এখনও উপত্যকার প্রায় ৪০০ রাজনৈতিক নেতাকর্মী আটক বা গ্রেপ্তার হয়ে আছে বলে সূত্রের খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.