Advertisement
Advertisement

Breaking News

PM Modi

সংসদে ভাষণের সময় মোদিকে ‘বাধা’ অধীরের! বলতে না পেরে বসে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী

অনেক হয়েছে, সীমা ছাড়াবেন না, ধমকের সুরে পালটা প্রধানমন্ত্রীর।

Opposition leaders create ruckus at parliament during PM Modi's speech | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 10, 2021 5:27 pm
  • Updated:February 10, 2021 5:39 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার সংসদে বেনজির সৌজন্যের ছবি দেখা গিয়েছিল রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের বিদায়ী ভাষণের সময়। বিরোধী দলনেতাকে বিদায় জানাতে গিয়ে চোখে জল এসে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। কিন্তু বুধবার ঠিক তার উলটো ছবি দেখা গেল। রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেই কৃষি আইন নিয়ে বলা শুরু করলেন, তখনই তাঁকে ‘বাধা’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরির বিরুদ্ধে।

প্রধানমন্ত্রী কথা বলার সময় বারবার অধীর চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury) কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন। যার জেরে প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার চুপ করে যান। কিন্তু তারপরও থামেননি অধীর। শেষপর্যন্ত বসে যেতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী। কয়েক মুহূর্ত পরে ফের শুরু করেন। এবারে অধীরকে কটাক্ষ করে বলেন,”আপনার যা বলার ছিল, যা রেজিস্ট্রার করার ছিল, তা হয়ে গিয়েছে। এবার চুপ করুন। ” কিন্তু, অধীর তারপরও থামেননি।

[আরও পড়ুন: বয়ঃসন্ধি পেরলে বিয়ে করতে পারে মুসলিম নাবালিকারাও! পর্যবেক্ষণ পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাই কোর্টের]

প্রধানমন্ত্রী বলার চেষ্টা করেন,”কংগ্রেস এই আইনের রং নিয়ে আলোচনা করেছে। ভাল হত যদি আইনের রং নিয়ে আলোচনা না করে বিক্ষোভের কারণ নিয়ে আলোচনা হত।” মোদির এই বক্তব্যের পর ফের বিক্ষোভ দেখান লোকসভার কংগ্রেস (Congress) দলনেতা। এবার মেজাজ হারান প্রধানমন্ত্রী। কার্যত ধমকের সুরে বলে দেন, “এবার বেশি হচ্ছে অধীররঞ্জনজি। এবার বেশি হচ্ছে। সীমার বাইরে বেরবেন না। সীমার বাইরে কেন যাচ্ছেন। আমি তো আপনাকে সম্মান করি। এবার থামুন। যা বলেছেন এতেই বাংলাতে তৃণমূলের থেকে বেশি প্রচার পেয়ে যাবেন। আপনার যা বলার ছিল, বলে দিয়েছেন।”

[আরও পড়ুন: সুপ্রিম হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা পেল ভারতের ঐতিহ্যবাহী রণতরী আইএনএস বিরাট]

অধীরের প্রতি মোদির এই ধমকের সুর একেবারেই পছন্দ হয়নি কংগ্রেস সাংসদদের। এবারে তাঁরা আরও সুর চড়ান। রীতিমতো হইচই শুরু হয় লোকসভায়। আরও রেগে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে ওঠেন,”এই বাধা দেওয়ার চেষ্টা, এই হট্টগোল, সবটাই একটা সুপরিকল্পিত রণকৌশল। আর সেই রণকৌশল হল সত্যিটা লুকিয়ে রাখার। ওঁরা যে বিভ্রান্তি কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়েছেন, তার সত্যিটা যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সেটা নিশ্চিত করার রণকৌশল।” স্পিকার ওম বিড়লাও রেগে গিয়ে উঠে দাঁড়ান। অধীর এবং কংগ্রেস সাংসদদের বলেন, আমি আপনাদের সবাইকে এই বিষয়ে বলার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়েছি। রাত ১টা পর্যন্ত অধিবেশন হয়েছে। এবার দয়া করে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে দিন।” কিন্তু তারপরও নিরস্ত না হয়ে ওয়াক আউট করেন কংগ্রেস সাংসদরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement