সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই জন সুরক্ষা আইনে(Public Safety Act) আটক জম্মু-কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। অবিলম্বে তাঁদের মুক্তি দিতে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাবনা পাঠায় ৮টি বিরোধী দল। এই তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে এর আগেও সরব হয়েছিলেন তাদের পরিজনেরা।
আট বিরোধী দলের প্রস্তাবনায় বলা হয়,”জম্মু-কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর বন্দি থাকা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মুক্তি দিতে হবে। যাঁদের মধ্যে জম্মু কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা(Farooq Abdullah), ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিও (Mehbooba Mufti)রয়েছেন।” ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট থেকে নজরবন্দি হয়ে রয়েছেন উপত্যকার রাজনৈতিক কর্মীরা। সেই প্রস্তাবনায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করে উল্লেখ করা হয়,”বেআইনি প্রশাসনিক উদ্যোগে গণতান্ত্রিক বিরোধিতার কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। যা দেশের সংবিধানের ন্যায় বিরোধী, স্বাধীনতা, সমতা ও বহুত্ববাদের পরিপন্থী।” জানা গিয়েছে, ওই তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে পিএসএ অর্থাৎ জন সুরক্ষা আইনে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এই জানুয়ারি মাসেই সেই জন সুরক্ষা আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁদের ওপর পুনরায় জন সুরক্ষা আইন লাগু করা হয়। বিরোধীদের নেওয়া প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে,”এর আগে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপি’র সঙ্গে জোটে People Security Act গিয়েছে বিজেপি। কিন্তু জন্য সুরক্ষা আইনে ওই দুই দলের নেতাকে আটক করে রেখেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।” যদিও মোদি সরকার দাবি করছে,”এই তিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপদজনক এবং জন সুরক্ষার জন্যই তাদের আটক করে রাখা হয়েছে।”
তবে কেন্দ্রের কাছে পাঠানো ওই প্রস্তাবনায় বিরোধীদের দ্বন্দ্বও প্রকাশ পেয়েছে। এই প্রস্তাবনায় সই নেই কংগ্রেসের। এনসিপি, আরজেডি, সিপিআইএম, সিপিআই, জেডিএস আর দুই বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা ও অরুণ শৌরির স্বাক্ষর রয়েছে। এই প্রস্তাবনায় কেন নাম নেই কংগ্রেস ও ডিএমকে’র? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সংসদ ও সংসদের বাইরে এই নিয়ে অনেক আগে থেকেই আন্দোলন করেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি সাংসদের আলোচনায় মোদি সরকারের কাশ্মীর নীতির সমালোচনায় সরব হয় এই দল। তাই প্রস্তাবনায় স্বাক্ষর করেনি তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.