সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতির ভাষণে কেন্দ্রের মোদি সরকারের ভুয়সী প্রশংসা করে গিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu। কিন্তু বিরোধীরা বলছে, রাষ্ট্রপতি সরকারকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে যে ভাষণ পেশ করেছেন, তাতে আসল ইস্যুগুলিই নেই। দেশের সামনে যে যে সমস্যাগুলি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড়, সেই সমস্যাগুলিরই উল্লেখ নেই রাষ্ট্রপতির ভাষণে। কংগ্রেস বলছে, রাষ্ট্রপতির ভাষণের মাধ্যমে আসলে ২০২৪ লোকসভার প্রচার করছে বিজেপি।
মঙ্গলবার নিজের ভাষণে রাষ্ট্রপতি একপ্রকার ঘোষণা করে দিয়েছেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত ভারত গড়বে এই সরকার। দাবি করেছেন, গত ৯ বছরে একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে উঠে এসেছে ভারত। চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে শত্রুদের মোক্ষম জবাব দিয়েছে সেনা। আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে দিচ্ছে ভারত। অথচ, তাঁর ভাষণে লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি (Inflation), সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উল্লেখ ছিল না। ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যার মতো জ্বলন্ত ইস্যু নিয়ে একটিও বাক্য খরচ করা হয়নি রাষ্ট্রপতির ভাষণে।
তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার দলনেতা সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছেন,”রীতি মেনে এবারের রাষ্ট্রপতির ভাষণও সরকারের লিখে দেওয়া। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান, গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে একটি লাইনও নেই। উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে মোটে দুটো লাইন!” দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণ নিয়ে সরব কংগ্রেসও (Congress)। তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়ে কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর বলছেন,”রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়েন না। অথচ মনে হচ্ছে বিজেপি (BJP) রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে ভোটপ্রচার করাচ্ছে। রাষ্ট্রপতির পুরো ভাষণ একটি নির্বাচনী প্রচার।”
বিরোধীরা ইঙ্গিত দিয়েছে রাষ্ট্রপতির ভাষণে এই ইস্যুগুলির উল্লেখ না থাকলেও বাজেট অধিবেশনে এগুলি নিয়ে তাঁরা সরব হবেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) জানিয়েছেন, আসন্ন বাজেট অধিবেশনে ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে তাঁরা আলোচনা চান। তৃণমূল কংগ্রেসও বাংলাকে যেভাবে আর্থিক অবরোধের মধ্যে ফেলা হচ্ছে, সেটা নিয়ে সরব হবে বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.