সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:ফের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিশানায় JNU এবং জামিয়া মিলিয়ার পড়ুয়ারা। এবার এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ‘শায়েস্তা’ করার উপায় বাতলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বল্যান। তাঁর কথায়, “এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের শায়েস্তা করতে পারে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের পড়ুয়ারাই। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হোক।”
CAA বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন জামিয়ার পড়ুয়ারা। এরপর ১৫ ডিসেম্বর আচমকাই ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের বেধড়ক মারধর করে দিল্লি পুলিশ। এমনকী লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ুয়াদের টেনে হিঁচড়ে বের করে এনে মারধর করা হয়। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। দিল্লি পুলিশের এই তাণ্ডবের বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হন বিশিষ্টজনেরা। দেশ-বিদেশের পড়ুয়ারাও পুলিশি তাণ্ডবের সমালোচনা করেন। এরপর থেকেই উত্তাল হয়ে রয়েছে জামিয়া ক্যাম্পাস। তুঙ্গে ওঠে বিক্ষোভ। এদিকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ক্রমাগত আন্দোলনে কোনঠাসা কেন্দ্র সরকার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দোলন সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। আবার বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলাও চালায়। সেই হামলার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত কেন্দ্র সরকারের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সঞ্জীব বল্যান বলেন, “আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথজিকে একটা অনুরোধ করতে চাই। JNU ও জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা দেশবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে, তাদের শায়েস্তা করার একটাই উপায় আছে। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শতাংশ আসন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হোক। দেখবেন, সবাই শায়েস্তা হয়ে গিয়েছে। আর কিছু প্রয়োজন হবে না।” প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অপরাধের হার অনেকটাই বেশি। সেই অপরাধে নাম জড়ায় স্থানীয় বাসিন্দারেরই। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও সঞ্জীব বল্যানের একের পর এক মন্তব্যের জেরে অস্বস্তি পড়েছে কেন্দ্র সরকার।গত মাসেই CAA আন্দোলনে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা অশান্তি ছড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এবার দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দুই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মন্তব্য করে ফের শিরোনামে তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.