সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমের (Assam) গোয়ালপাড়ায় রবিবার খুলেছিল একটি মিঞা মিউজিয়াম (Miya museum) । মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sarma) তীব্র আপত্তি ও নির্দেশে মঙ্গলবারই গোয়ালপাড়ার সেই মিউজিয়ামে তালা ঝোলাল জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের অভিযোগ, ওই মিঞা মিউজিয়ামটি গড়ে উঠেছিল যে বাড়িতে, সেটি প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার অনুদানে তৈরি। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, মিউজিয়ামটি অর্থহীন। সেখানে যা কিছু রয়েছে সবই অসমিয়া জনজাতির পোশাক। “লুঙ্গি ছাড়া ওদের (মিঞাদের) কিছু নেই।” কার্যত এমন মন্তব্যের পর হিমন্তের নির্দেশিকায় খোলার দু’দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেল গোয়ালপাড়ার মিঞা মিউজিয়াম।
সোমবার হিমন্ত মন্তব্য করেন, “আমি বুঝতে পারছি না এটা কী ধরনের মিউজিয়াম। অসমিয়াদের লাঙল, মাছ শিকারের জিনিসপত্র রাখা হয়েছে এখানে। একমাত্র লুঙ্গি বাদে ওদের নিজস্ব কিছুই নয়। এখানে নতুন আছেটা কী? ওদের প্রমাণ করতে হবে লাঙল শুধুই মিঞারা ব্যবহার করেন। নাহলে পদক্ষেপ করুক সরকার।” উল্লেখ্য, অসমিয়া মিঞা পরিষদের সভাপতি মোহর আলির বাড়িতে মিঞা মিউজিয়াম গড়ে উঠেছিল। জানা গিয়েছে, মোহর ও তাঁর সঙ্গী আবদুল লতিফ বাতেনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা করেছে পুলিশ।
মিঞাদের বিষয়ে আগেও তোপ দেগেছিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এদিন তিনি বলেন, “মিঞা স্কুলের পরে মিঞা মিউজিয়ামও তৈরি হল। তাঁরা কোথা থেকে মিউজিয়াম তৈরির টাকা পেলেন পুলিশ তার তদন্ত করবে।” যদিও ইতিমধ্যে সিল করা হয়েছে গোয়ালপাড়ার মিঞা মিউজিয়ামটিকে। উল্লেখ্য, উনবিংশ শতকে বাংলাদেশ থেকে ব্রহ্মপুত্রের চরে চাষ করতে আসা মানুষের পরবর্তী প্রজন্মকে সাধারণ ভাবে মিঞা বলা হয়। যারা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশে এর আগে একের পর এক মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অসমে।এই বিষয়ে সরাসরি হুমকিও দেন তিনি। হিমন্ত বলেন, কোনও মাদ্রাসায় দেশবিরোধী কাজ হলে সেটিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। তার বক্তব্য ছিল, “মাদ্রাসাগুলিকে ধ্বংস করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। সেখানে যাতে জেহাদি কার্যকলাপ না হয় সেদিকে নজর রাখছি। আমরা যদি নির্দিষ্টভাবে তথ্য পাই যে মাদ্রাসার আড়ালে কোনও ভারতবিরোধী কার্যকলাপ হচ্ছে, সেক্ষেত্রে সেগুলিকে ভেঙে ফেলা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.