Advertisement
Advertisement

Breaking News

জিএসটির পর কেন্দ্রের নয়া উদ্যোগ, ‘এক পণ্য, এক দাম’

মাল্টিপ্লেক্সেও চা-পানীয় মিলবে স্বাভাবিক রেটে।

One product, one MRP, no more differential pricing at airports, malls and cinemas
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 30, 2017 11:53 am
  • Updated:June 30, 2017 11:53 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক বোতল পানীয় জলের দাম সাধারণ দোকানে ১০ টাকা হলেও ওই বোতলের দামই কোনও মাল্টিপ্লেক্সে গেলে দাঁড়ায় ৫০ টাকা। কখনও কখনও তার চেয়েও বেশি। ঠান্ডা পানীয় বা একটি স্যান্ডউইচের দাম দোকানের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে যায় বিমানবন্দরে। এমনকী, দামি কোনও শপিং মলে এক কাপ চায়ের দামও কখনও ২০-৩০ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। সাধারণ মানুষ বারবারই অভিযোগ করে এসেছেন, কেন ম্যাক্সিমাম রিটেল প্রাইস বা এমআরপির চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা দিতে হবে বিমানবন্দর, শপিং মল বা মাল্টিপ্লেক্সে? যাবতীয় অভিযোগের ভিত্তিতে এবার কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গোটা দেশে একটি পণ্যের জন্য একটিই এমআরপি দিতে হবে। এই উদ্যোগের পোশাকি নাম- ‘এক পণ্য, এক দাম’।

[জানেন, বীমার টাকা পেতে কী করল এই ব্যক্তি?]

তবে এবার সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়ে প্যাকেজড কমোডিটি আইন, ২০১১-য় বেশ কিছু রদবদল এনেছে কেন্দ্র। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে লাগু হচ্ছে নয়া আইন। কেন্দ্রের এক আধিকারিক বলছেন, “এই সময়টুকু ব্যবসায়ীদের দেওয়া হচ্ছে সবদিক ঠিকঠাক ভাবে দেখে নেওয়ার জন্য।” ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের উদ্যোগে বেশ কয়েক দফায় আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের লাগাতার অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে কোনও একটি পণ্যের জন্য দু’রকম এমআরপি নেওয়া যাবে না। এর ফলে বহু মানুষ, যাঁরা এতদিন ধরে শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স ও বিমানবন্দরে অতিরিক্ত দামের জন্য অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন, তাঁরা উপকৃত হবেন।

Advertisement

তবে এই নিয়ম কোনও রেস্তরাঁর উপর লাগু হবে না। কারণ ১ জুলাই থেকে রেস্তরাঁগুলিতে জিএসটি চালু হয়ে যাচ্ছে। নয়া নিয়ম লাগু হবে সেই সব জিনিসের উপর যেগুলি মূলত দোকান থেকে কিনতে হয়। এর পাশাপাশি, জিনিসের গায়ে দাম-সহ অন্যান্য সংখ্যাগুলি বড় হরফে লিখতে হবে। যাতে মানুষের চোখে পড়ে স্পষ্টভাবে। একইসঙ্গে স্টেন্ট, ভালভ, সিরিঞ্জের গায়েও এবার থেকে দাম লিখে রাখতে হবে স্পষ্ট করে। যার ফলে কোনও হাসপাতাল এখন থেকে আর রোগীর পরিবারের হাতে অবৈধভাবে মোটা অঙ্কের বিল না ধরাতে পারে। বহু মেডিক্যাল ডিভাইসের গায়েই এখন এমআরপি লেখা থাকে না। যার কারণ হিসাবে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির দাবি, এগুলি সরাসরি রোগী বা তাঁর পরিবারকে বিক্রি করা হয় না। কিন্তু প্রায়শই অভিযোগ ওঠে, এই সমস্ত মেডিক্যাল ডিভাইস আসল দামের চেয়ে প্রায় ৬০০ গুণ বাড়িয়ে দেখানো হয় হাসপাতালের বিলে।

[আজ মধ্যরাত থেকেই পালটে যাচ্ছে এই পরিষেবাগুলির খরচ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement