Advertisement
Advertisement

Breaking News

One Nation One Election

মঙ্গলেই সংসদে পেশ ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল, বিরোধিতায় হুইপ জারি তৃণমূলের

দুপুর ১২টায় লোকসভায় বিলটি পেশ করবেন আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল।

One Nation One Election bill to be tabled in parliament on Tuesday
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:December 16, 2024 8:24 pm
  • Updated:December 16, 2024 10:33 pm  

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সংসদে পেশ হতে চলেছে ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল। জানা যাচ্ছে, দুপুর ১২টায় লোকসভায় এই বিল পেশ করবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর ও পুদুচেরির জন্য আলাদাভাবে পেশ হবে বিল। ইতিমধ্যেই বিলের কপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সব সাংসদদের। এদিকে বিলের বিরোধিতায় প্রস্তুত তৃণমূল। দলের তরফে হুইপ জারি করা হয়েছে। উপস্থিত থাকতে হবে সমস্ত সাংসদকে। অন্যান্য দলের তরফেও জারি করা হয়েছে হুইপ।

গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা সংবিধান (১২৯ সংশোধনী) বিল, ২০২৪, এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী বিল), ২০২৪ অনুমোদন করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেগুলি সাংসদদের কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়। কথা ছিল সোমবার সংসদে পেশ হবে ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল। আইনমন্ত্রী বিলগুলি পেশ করার পর তা যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হতে পারে আলোচনার জন্য। যদিও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করে কেন্দ্র সরকার। পরে যে চূড়ান্ত কার্যসূচি ঘোষণা করা হয়, তাতে দেখা যায় এক দেশ-এক ভোট বিল নেই। সংশয় তৈরি হয় বিলটি আদৌ এই অধিবেশনে পেশ হবে কিনা। এরই মাঝে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামিকাল মঙ্গলবারই পেশ হতে চলেছে বিলটি।

Advertisement

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কমিটি ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিল। এক দেশ, এক ভোট নিয়ে এর আগে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলি। তাদের যুক্তি ছিল, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়, সাংসদ এবং বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটুকু বৈচিত্রের সম্ভাবনা রয়েছে, বিজেপির আগ্রাসী প্রচারের মুখে তা ভেঙে পড়তে পারে। দেশের একেক রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয় একেক সময়। একসঙ্গে ভোট করাতে হলে কোনও কোনও রাজ্যের ভোট এগিয়ে আনতে হবে। কোনও কোনও রাজ্যের ভোট পিছিয়ে দিতে হবে। যা পদ্ধতিগতভাবে চরম সমস্যার। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিরোধীদের আপত্তিতে এই বিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠতে পারে সংসদ।

যদিও বহুদিন ধরেই ‘এক দেশ, এক ভোটে’র পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রের যুক্তি, এর ফলে নির্বাচন করার বিপুল খরচে রাশ টানা যাবে। যেমন সরকারের খরচ কমবে, তেমন রাজনৈতিক দলগুলিরও খরচ কমবে। বারবার নির্বাচনের জন্য সরকারি কাজকর্ম, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে থমকে যায়। একসঙ্গে ভোট হলে তা কমে যাবে। ভোটকর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের খাটুনিও কমবে। একসঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভার ভোট হলে ভোটের হার বাড়তে পারে বলেও মত অনেকের। রাজনৈতিক দলগুলিও সারা বছর ভোটপ্রচারের ঝক্কি না থাকায় মানুষের কাজে অনেক বেশি মনোনিবেশ করতে পারবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement