সংবাদ প্রতিদিন ডিডিটাল ডেস্ক: কেরালায় গর্ভবতী হাতির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজ্যের বনমন্ত্রী কে রাজু শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন। এই মামলায় এই প্রথম কাউকে গ্রেপ্তার করা হল। এছাড়া শুক্রবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবারই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের টুইটারে জানান, এখনও পর্যন্ত তিনজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেই এগোচ্ছে তদন্ত। এরপর শুক্রবার বনমন্ত্রী কে রাজু জানান, নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন জানিয়েছেন, ৪০ বছর বয়স্ক এই ব্যক্তি নিজে বিস্ফোরকগুলি তৈরি করেছিল। অন্যকে এগুলি ব্যবহার করতেও সে সহায়তা করেছিল বলে উঠেছে অভিযোগ। এছাড়া কেরলে গর্ভবতী হাতির নির্মম হত্যার ঘটনায় আরও কয়েকজন পুলিশ ও বনবিভাগের স্ক্যানারে রয়েছে। প্রয়োজনে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। উপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণ মিললে গ্রেপ্তার করতেও পিছপা হবে না পুলিশ।
২৩ মে প্রথম রক্তাক্ত অবস্থায় হাতিটিকে দেখা যায় বলেই দাবি বনাধিকারিকদের। তবে ২ জুন তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কেরলের বনাধিকারিক মোহন কৃষ্ণণ সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্তঃসত্ত্বা হাতিটির মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। তারপরই ঘৃণ্য এই ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে যায়। ঠিক কী হয়েছিল? খাবারের খোঁজে ওই হাতিটি জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে। কিন্তু হাতিকে লোকালয়ে দেখামাত্রই প্রমাদ গুনতে থাকেন স্থানীয়রা। তাঁরা ভাবেন এই বুঝি হাতিটি কাঁচাবাড়ি কিংবা ফসলের ক্ষতি করবে। কারও প্রাণহানিরও কারণ হয়ে উঠতে পারে সে। তাই তাকে আনারসের ভিতরে বাজি ভরে খেতে দেওয়া হয়। ওই আনারস খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে হাতিটি। এরপর সে জ্বালা যন্ত্রণা লাঘব করতে বহু পথ হেঁটে একটি নদীতে শরীর ডুবিয়ে বসেছিল। সেখানেই মারা যায় অন্তঃসত্ত্বা ওই হাতিটি। যদিও বনকর্তাদের অনুমান, বুনো শুয়োর মারতে রেখে দেওয়া বাজি ভরতি আনারস ভুল করে খেয়ে ফেলেছিল হাতিটি। তার জেরে এমন মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটেছে। আটক হওয়া দুই শ্রমিকেরও এমনই মত। যদিও গোটা ঘটনাটাই এখনও তদন্তসাপেক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.