সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ কী ভাষা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে! প্রকাশ্যে বেল্ট দিয়ে মারার হুমকি দিচ্ছেন ছত্তিশগড়ের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেণুকা সিং। রবিবার ছত্তিশগড়ের এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে শোনা গেল তাঁকে। অন ক্যামেরায় ধরা পড়ল মন্ত্রীর বলা প্রতিটি মুহুর্তের কথা। যা দেখে হতচকিত নেটিজেনরা।
“আমি ভাল করেই জানি অন্ধকার ঘরে নিয়ে গিয়ে কীভাবে বেল্ট খুলে মারতে হয়।” জন নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে এই বক্তব্য শুনে প্রথমে বিশ্বাস নাই হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি। এই ভাষাতেই কথা বলেছেন ছত্তিশগড়ের উপজাতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রেণুকা সিং (Renuka Sing)। প্রকাশ্যে ক্যামেরার সামনে ছত্তিশগড়ের বলরামপুরের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে গিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন তিনি। সুর চরিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের কর্মীদের বলতে শোনা গেল, “দাদাগিরি চলবে না। কেউ যেন না ভাবেন আমাদের সরকারের ক্ষমতা নেই। আমরা ১৫ বছর ধরে শাসন করেছি। করোনা ভাইরাস দমনের জন্য কেন্দ্রের কাছে যথেষ্ট অর্থ রয়েছে। আমি নিশ্চিত করব যাঁদের প্রয়োজন তাঁরা যেন সেই টাকা পান। গেরুয়া পোশাক পরে বিজেপি কর্মীদের দুর্বল ভাববেন না। আমি ভাল করেই জানি অন্ধকার ঘরে নিয়ে গিয়ে কীভাবে বেল্ট খুলে মারতে হয়।” তবে হঠাৎ রেগে যাননি এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। ছত্তিশগড়ের এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জীর্ণ দশার ছবি তুলে ধরেছিলেন বলরামপুর জেলার এক বাসিন্দা দিলীপ গুপ্তা। সদ্যই দিল্লি থেকে ফেরার পর দিলীপ গুপ্তা এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। ফলস্বরূপ দিলীপকে নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে চিফ এগজিকিউটিভ আধিকারিক ও জেলা পঞ্চায়েতের তহসিলদারের বিরুদ্ধে। মারধর করে দিলীপ গুপ্তার ভিডিওটিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
এতেই রেগে আগুন হয়ে ওঠেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। রবিবার বলরামপুরে গিয়ে আক্রান্তের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই রণচন্ডী রূপে সোচ্চার হতে দেখা যায় তাঁকে। জানা যায়, দিলীপ গুপ্তা দিল্লি থেকে ফেরার পর ওই কেন্দ্রের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই রয়েছেন। তাঁর তোলা ভিডিওয় তিনি অভিযোগ জানান যে, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের দেওয়া খাবার ও অন্যান্য পরিষেবার মান নিয়ে। তবে খুব রেগে গেলেও প্রশ্ন হল, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এই ভাষায় কথা বলতে পারেন কী?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.