Advertisement
Advertisement
সর্বদল বৈঠক

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ৮ এপ্রিল সর্বদল বৈঠকের ডাক প্রধানমন্ত্রীর

রাজনৈতিক ঐক্যমত গড়ে তুলতে বৈঠকের ডাক মোদির।

On 8 April PM Modi will interact with Floor leaders on Corona
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 4, 2020 7:54 pm
  • Updated:April 4, 2020 7:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা নিয়ে ৮ এপ্রিল সর্বদল বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা আলোচনার মাধ্যমে কাজ চালালেও এখনও বিরোধী দলের কোনও নেতাদের সঙ্গেই বৈঠক করেননি প্রধানমন্ত্রী। আর তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। তাই ৮ এপ্রিল বৈঠকের ডাক দেন তিনি।

করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের কী করা উচিত কী নয় তা নিয়ে বিস্তর মত প্রকাশ করেছেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, পি চিদম্বরম- সহ অনেকে। কেউ আবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেও পরামর্শ দিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী কারোর সঙ্গেই এই নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেননি। নিজের অবস্থান থেকে সরে এবার বিরোদীদের সঙ্গে করোনা নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি প্রধানমন্ত্রী। তাই আজ সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, “৮ এপ্রিল বেলা ১১টায় করোনা মোকাবিলায় সর্বদল বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।” তিনি জানিয়েছেন, “লকডাউনের নিয়ম মেনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে ওই বৈঠক। যে দলগুলির পাঁচজনের বেশি সাংসদ আছে সংসদের দুই কক্ষে সেই দলের সংসদীয় নেতার সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।”

Advertisement

করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে মোদির মতামতে বিরোধী দলের নেতারা সম্মতি জানালেও এই কয়েকদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়তে শুরু করেছেন তাঁরাই। দু’দিন আগে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর অন্তর্বর্তী কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, “কোনওরকম পরিকল্পনা ছাড়াই কেন্দ্র লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছে। ফলে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়া অসংখ্য শ্রমিককে।” তাঁর পালটা আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “কংগ্রেস সংকীর্ণ রাজনীতি করছে।” এদিন আবার রাহুল গান্ধী তথ্য দিয়ে দাবি করেছেন, “ভারতের তুলনায় পাকিস্তানে বেশি মানুষের টেস্ট হচ্ছে। সেদিক থেকে ভারত অনেক পিছিয়ে। হাততালি দিয়ে, প্রদীপ জ্বালিয়ে করোনা মোকাবিলার সমাধান সূত্র মিলবে না।”

[আরও পড়ুন: করোনা রুখবে হোমিওপ্যাথি’, আয়ুষ মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানিয়ে ফের ট্রোলের শিকার অমিতাভ]

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশবাসীর মধ্যে আতঙ্ক যাতে ক্ষোভে পরিবর্তন না হয় তাই হয়তো রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তুলতেই এই বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে সবার পরামর্শ নিয়ে একটা রাস্তা বের করা যায়। একইসঙ্গে লকডাউন ওঠার পর কী করা যাবে তা নিয়েও প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের থেকে পরামর্শ চাইতে পারেন মোদি। তবে এর আগে প্রধানমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দুবার ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন।

[আরও পড়ুন: সংক্রমণের আশঙ্কায় ঢাকার মসজিদে তালাবন্দি ৩২১ জন তবলিঘি জামাত সদস্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement