সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন ভাঙল গুজরাটের সেতু? সদ্য মেরামত হওয়ার পরও কোথায় ছিল খামতি? নির্মাণে ব্যবহৃত সামগ্রী কি নিম্নমানের ছিল? গলদ ছিল কি নকশায়? মোরবিতে সেতু বিপর্যয়ে উঠছে বহু প্রশ্ন। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার জন্য অত্যাধিক ভিড়কেই দায়ী করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার গুজরাটের মচ্ছু নদীর উপরে থাকা একটি কেবল ব্রিজ (Bridge collapse) ভেঙে পড়ে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জনের। এখনও চলছে নদী থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ। ঘটনার ভয়াবহতা সামনে এসেছে বেশ কিছু ভিডিও মারফত। যেখানে দেখা গিয়েছে কীভাবে আচমকা কেবল ছিড়ে নদীতে পড়ে যায় ব্রিজটি। এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছে ‘সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স’ (CFSL)। সূত্রের খবর, গ্যাসকাটার দিয়ে ভেঙে পড়া সেতুটি থেকে স্যাম্পেল সংগ্রহ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় সংস্থাটির এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার জন্য অত্যাধিক ভিড়ই দায়ী। মানুষের প্রবল চাপে সেতুটির পরিকাঠামোয় গঠনমূলক সমস্যা তৈরি হয়। এক সময় তা নির্দিষ্ট মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। কেবলগুলি চাপ নিতে না পারায় ব্রিজটির ডেক উলটে যায়।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, একদল যুবক মজার ছলে বিপজ্জনক ভাবে সেতুটিকে দোলাচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতেও সেতু দোলানোর ঘটনাটি দেখা যাচ্ছে। এহেন কাজেও সেতুটির পরিকাঠামোয় প্রবল চাপ তৈরি হয়। বলে রাখা ভাল, মোরবির ওই ব্রিটিশ জমানার ব্রিজটি সম্প্রতি মেরামত করা হয়। এই কাজটি করে গুজরাটের ঘড়ি নির্মাতা সংস্থা ‘ওরেভা গ্রুপ’। অক্টোবরের ২৬ তারিখ গুজরাটি নববর্ষ উপলক্ষে সেতুটি জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, মেরামতের প্রযুক্তিগত দিকটি ‘দেবপ্রকাশ সলিউশনস’ নামের একটি সংস্থাকে আউটসোর্স করে দেয় ‘ওরাভা’। ফলে প্রশ্ন উঠছে, সেতু রক্ষণাবেক্ষণের মতো বড় কাজের জন্য এই সংস্থাগুলি কি আদৌ যোগ্য?
উল্লেখ্য, বর্তমানে গুজরাট সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার মধ্যেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে দাবি, অত্যাধিক ওজন নিতে না পারার কারণে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় ৫০০ মানুষ ছিল সেতুটিতে। এছাড়াও ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। যদিও কোটি টাকা খরচ করে তা মেরামতির পর চার দিন আগে জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয়। তারপরেও কেবল ব্রিজটি ভেঙে পড়ল কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এখন। অভিযোগ উঠছে বড়সড় দুর্নীতির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.