ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার সংক্রমণ রুখতে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন (Lockdown) শুরু হয়েছিল ভারতে। এর ফলে সবথেকে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ ও পরিযায়ী শ্রমিকদের। কর্মহীন হয়ে পড়ার পাশাপাশি বাড়ি ফিরতে গিয়েও মারা গিয়েছেন কেউ কেউ। এর জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষের অনেকে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন। কিন্তু, এই সমস্ত বিষয় যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি তা প্রমাণ হয়ে গেল একটি বেসরকারি সংস্থার করা সমীক্ষায়। উলটোদিকে যদিও মুখ্যমন্ত্রীদের জনপ্রিয়তার বিচার অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে তারা। স্পষ্ট ভাষায় বলতে গেলে নরেন্দ্র মোদি যেখানে পক্ষীরাজ ঘোড়ার গতিতে ছুটছেন। সেখানে যেন মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছেন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা। আর ঠিক এই সময়ে সবার চোখের আড়ালে উইকেটে টিকে থেকে, প্রয়োজন মতো চার-ছয় মেরে প্রথম স্থান দখল করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।
বেসরকারি সংস্থার করা সার্ভে থেকে জানা গিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ বিভিন্ন কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হলেও নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা খুব একটা কমেনি। দেশের ৬৫ শতাংশের বেশি মানুষ এখনও তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে চান। এমনকী অবিজেপি শাসিত রাজ্য ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের ৯৫.৬ ও ৯৩.৯৫ শতাংশ মানুষ তাঁকেই পছন্দ করেন। সেখানে বিজেপি শাসিত হিমাচল প্রদেশে ৯২ শতাংশ মানুষ তাঁকে পছন্দ করেন। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তেলেঙ্গানা কিংবা ঝাড়খণ্ড থেকে মহারাষ্ট্র, সমস্ত অবিজেপি রাজ্যগুলিতেই নরেন্দ্র মোদিকে পছন্দ করেন ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ।
কিন্তু, সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের জনপ্রিয়তার প্রসঙ্গ এলেই মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরের। প্রথম ৬টি স্থানের মধ্যে জায়গা পায়নি তারা। আর চুপচাপ কাজ করে রাজ্যের ৭২.০৬ শতাংশ মানুষের সমর্থন জোগাড় করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। আরও ১৯ শতাংশের বেশি মানুষ তাঁর কাজে মোটামুটি সন্তুষ্ট। অর্থাৎ মোট ৮২.৯৬ শতাংশ মানুষ তাঁকে পছন্দ করেন। তাঁর পরেই রয়েছেন কংগ্রেসশাসিত ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল (৮১.০৬), বামশাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (৮০.২৮), অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডি (৭৮.০১), মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে (৭৬.৫২), দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল (৭৪.১৮), হিমাচল প্রদেশের জয়রাম ঠাকুর (৭৩.৯৬) ও কর্ণাটকের বিএস ইয়েদুরাপ্পা। প্রথম দশের মধ্যে স্থান পাননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৭ ও নীতীশ কুমার ২০ নম্বর স্থানে রয়েছেন। তবে এই সার্ভে অনুযায়ী, দেশের ২৩টি রাজ্যের মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার (৪.৪৭)। আর তার ঠিক আগের স্থানে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত (১৭.৭২) ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দার সিং (২৭.৫১)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.