ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালেশ্বরের ভয়ংকর ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বহু যাত্রী। তবে জীবনযুদ্ধে হার মানলেন তাঁদেরই একজন। যার ফলে এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৯০। এখনও অন্তত ৮১টি দেহ শনাক্ত করা যায়নি। ডিএনএ রিপোর্টের অপেক্ষায় বসে পরিবারগুলি।
গত ২ জুন সন্ধেয় তিন ট্রেনের সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল গোটা দেশ। একসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মালগাড়ি, শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) এবং যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস। যার জেরে প্রাণ হারান ২৮৮ জন। আহত হয়েছিলেন বারোশোরও বেশি যাত্রী। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে সেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯০। কটকের এক সরকারি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকাশ রাম নামের বিহারের এক বাসিন্দা চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু চোট গুরুতর হওয়ায় শুক্রবার মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ময়নাতদন্তের পর পরিবার প্রকাশ রামের দেহ পাবে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, কটকের এই হাসপাতালেই এখনও চিকিৎসাধীন ছিলেন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত অন্তত ২০০ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকে সুস্থ হয়েছেন। তবে অনেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
তবে এখনও পর্যন্ত ৮১ জনের দেহ শনাক্ত করা যায়নি। এখনও পর্যন্ত ভূবনেশ্বরের এইমসে ৮১টি মৃতদেহ রাখা আছে। তাঁদের ডিএনএ রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায়। মোট ৭৮টি পরিবারের থেকে ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখনও এমন বহু পরিবার রয়েছে, যাঁরা প্রায় ১৫ দিন পরেও স্বজনহারাদের সন্ধান পাননি। মৃত যাত্রী তাঁদেরই বাড়ির সদস্য কি না, তা নিশ্চিত হতেই দিনের পর দিন হাসপাতালে বসে রয়েছে বহু পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.