ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রযুক্তিগত ত্রুটি নাকি মানুষের ভুল? কী কারণে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল করমণ্ডল এক্সপ্রেস? দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে এই প্রশ্নই তুলে দিল বিরোধী দলগুলি।
শুক্রবার সন্ধেয় বালেশ্বরের কাছে একসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তিনটি ট্রেন। হামসফর এক্সপ্রেস, একটা মালগাড়ির এবং করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মধ্যে দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শালিমার-চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসই। এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬১ জনের। আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু দুর্ঘটনা এমন ভয়াবহ রূপ নিল কীভাবে? রেলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিরোধীদের দাবি, সিগন্যালিং সিস্টেমের ব্যর্থতার জন্যই এই দুর্ঘটনা। তৃণমূলের মুখপাত্র সাকেত গোখলে টুইটারে লেখেন, “ওড়িশার দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির কারণেই এই ভয়ংকর কাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সত্যিই জরুরি।”
সিপিআই (এমএল) সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যও সিগন্যালিং সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। লিখেছেন, বর্তমানে কি রেলে আর সিগন্যালিং এবং সেফটি সিস্টেম বলে কিছু নেই? সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম আবার রেলমন্ত্রকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বলেন, মোদি সরকার এখন বিলাসবহুল ট্রেন চালুর দিকেই বেশি মনোযোগী। অথচ পুরনো ট্রেন, রেললাইনের খোলনলচে বদলানো হয় না। এমনকী রেলমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন তিনি।
তবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেন, কার গাফিলতিতে এত বড় ঘটনা ঘটেছে, তা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। তবে এখন সেসব ভুলে যাত্রীদের উদ্ধার করাই মূল লক্ষ্য।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, ট্রেনে অ্য়ান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না। সেই কারণেই এত বড় দুর্ঘটনা। ওই ডিভাইস থাকলে এই দুর্ঘটনাই হত না। উল্লেখ্য, দেশজুড়ে সমস্ত ট্রেন এবং ট্রেনের রুটে অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস ‘কবচ’ ইনস্টল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রেলমন্ত্রক। কোনও ট্রেন সিগন্যাল ভাঙলে এই কবচই সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দেয়। তাতেই অন্য ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনার রুটে কোনও কবচ ছিল না। আর তাই এমন পরিণতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.