সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জুন মাসে ভয়ংকর ট্রেন দুর্ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ২৯৩ জন। তারপর থেকেই দুর্ঘটনার কারণ জানতে চলছিল তদন্ত। অবশেষে রেলের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জানানো হল ঠিক কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিংয়ের গন্ডগোলের জেরেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়।
গত ২ জুন সন্ধেয় তিন ট্রেনের সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। একসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মালগাড়ি, শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) এবং যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস। যার জেরে প্রাণ হারান ২৯৩ জন। আহত হন বারোশোরও বেশি যাত্রী। সেই দুর্ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। সিবিআই তদন্তের মাঝেই চলতি মাসের গোড়ায় রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটিও। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি ছিল না। কর্মীদের ভুলেই এই ঘটনা। এরপর কার্যত একই কারণ তুলে ধরে তিন রেল আধিকারিককে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। আর এবার রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের রিপোর্টে বলা হল, সিগন্যালিংয়ের গাফিলতিই কেড়ে নিয়েছে এতগুলি প্রাণ।
নর্থ সিগন্যাল গুমটি স্টেশনে সিগন্যাল সার্কিটের অদলবদল করতে গিয়েই যাবতীয় গন্ডগোল। বাহানাগা স্টেশনের কাছে ৯৪ নম্বর লেভেল ক্রসিংয়ে ইলেকট্রিক লিফ্টিং বেয়ারের বদলের সময় সিগন্যালিংয়ে ভুল হওয়াতেই ঘটনাটি ঘটে যায়।
শুক্রবার রাজ্যসভায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির রিপোর্ট উল্লেখ করে এই গাফিলতির কথা তুলে ধরেন। জানান, লেভেল ক্রসিংয়ের রেল গেট পরিবর্তনের কাজ করতে গিয়েই তার সঙ্গে সংযুক্ত সিগন্যালিং ব্যবস্থার সার্কিটে অদলবদল হয়ে যায়। এই ভুলের জন্যই ১২৮৪১ নম্বর করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে মেন লাইন দিয়ে যাওয়ার জন্য সবুজ সিগন্যাল দেওয়া ছিল। কিন্তু যে মেন লাইন ধরে করমণ্ডল আসছিল, ১৭ এ/বি ক্রসওভারের কাছে তার পয়েন্ট সেট করা ছিল আপ লুপ লাইনের দিকে। তার জেরেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস মেন লাইন ছেড়ে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। রেলমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে সিগন্যালের এহেন গাফিলতিতে ১৩টি ঘটনা ঘটেছে। যাতে সাতটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.