সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশার (Odisha) ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলের খাবারে মরা ব্যাঙ। ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল ভূবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজিতে। ঘটনার প্রতিবাদে খাবারের ছবি-সহ সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন আর্যাংশ নামের এক ছাত্র। যা নিমেষে ভাইরাল হয়। নেটিজেনরা তীব্র নিন্দা করেন এই ঘটনার। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্টেলের ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা সংস্থার নামে নোটিস জারি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের একদিনের প্রাপ্য কেটে নেওয়া হয়। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুপাপে লঘুদণ্ডের অভিযোগ তুলেছে পড়ুয়ারা।
আর্যাংশ যে ছবিটি পোস্ট করেছেন, সেখানে দেখা গিয়েছে খাবারের প্লেটের পাশে মেঝেতে পড়ে আছে একটি মরা ব্যাঙ। ক্যাপশানে লেখা হয়েছে, ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর মধ্যে ৪২তম স্থানে রয়েছে কেআইটি ভূবনেশ্বর। এখানে পড়ানোর জন্য আনুমানিক সাড়ে সতেরো লক্ষ টাকা খরচ করেন অভিভাবকরা। এর এই হল কলেজ হস্টেলের খাবারের অবস্থা। অথচ আমরা অবাক হই, কেন ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়তে চলে যায়।
This is KIT Bhubaneswar, ranked ~42 among engineering colleges in India, where parents pay approx 17.5 lakhs to get their child an engineering degree. This is the food being served at the college hostel.
Then we wonder why students from India migrate to other countries for… pic.twitter.com/QmPaz4mD82
— Aaraynsh (@aaraynsh) September 23, 2023
পরে কলেজের কর্তৃপক্ষের নোটিসের কথাও আর্যাংশই জানান। ২৩ সেপ্টেম্বরের ওই নোটিসে বলা হয়, খাবার ছিল ‘সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর’। পড়ুয়ারা ‘অখুশি’। এর ফলে শাস্তি হিসেবে হস্টেলের ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা সংস্থার একদিনের প্রাপ্য (ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, স্ন্যাকস এবং ডিনার) কেটে নেওয়া হয়। পাশাপাশি কলেজে কর্তৃপক্ষের পরামর্শ, ভবিষ্যতে খাদ্য প্রস্তুত করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। রান্নাঘর, স্টোর রুম এবং খাবর যেন স্বাস্থ্যকর হয়।
So, this is the value of human life. The hostel where the frog was served, at Bhubaneswar University, in an attempt to do damage control, decided to deduct only one day’s payment from the mess provider company! Just wow. pic.twitter.com/2BSDhUwI8I
— Aaraynsh (@aaraynsh) September 24, 2023
কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন দায়সারা মনোভাবে বিরক্ত পড়ুয়া এবং নেটিজেনরা। তাঁদের বক্তব্য, মরা ব্যাঙ থাকা ওই খাবার খেলে পড়ুয়ার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। এত বড় ঘটনার পর এই নোটিস মানা যায় না। একজন মন্তব্য করেছেন, “প্রায় সব সরকারি কলেজে ক্যান্টিনের খাবার নিকৃষ্টমানের কিন্তু প্রাইভেট কলেজে পাঁচতারা মানের খাবার মেলে।” আরেক নেটিজেনের মন্তব্য, “দুঃখজনক… কলেজ কর্তৃপক্ষ, ক্যান্টিনের ঠিকাদার, ইনচার্জ সকলের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত এবং তাদের লাইসেন্স বাতিল করা উচিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.