ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মহিলার সামনে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করছিল। মহিলাটি প্রতিবাদ করায় তাঁকে খুন করে ধর্ষক। পরে রাজ্য ছেড়ে পালিয়েও যায়। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। প্রায় একমাস ধরে তল্লাশি চালানোর পরে তাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার জাজপুর জেলার ধরমশালা থানার দেউলি এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ মে এক কিশোরীকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় কুমারি গ্রামের বাসিন্দা বিজয় বেহেরা। তারপর জাজপুর জেলার দেউলি এলাকার একটি পাহাড়ে নিয়ে যায়। এই কাজে তাকে সাহায্য করেছিল পবিত্র মহারানা ওরফে ভিকি নামে এক যুবকও। অভিযুক্তদের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচাতে ওই বাড়িতে পৌঁছে যান তার মা। কিন্তু, সেখানে পৌঁছনোর পর বিজয় তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। এমনকী তাঁর চোখের সামনেই কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে। পরে মা ও মেয়ে দু’জনকেই প্রচণ্ড মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
দুদিন পর অর্থাৎ ৪ তারিখ ভোরবেলা দেউলির ওই পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া কিছু স্থানীয় যুবক মহিলার গলায় বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পান। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন একপাশে ৫৫ বছরের এক প্রৌঢ়ার মৃতদেহ পড়ে আছে। আর একটু দূরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে এক কিশোরী। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন ওই যুবকরা। পুলিশ এসে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি কিশোরীটিকে কটকের একটি হাসপাতালে ভরতি করে। পরে মেয়েটি একটু সুস্থ হতে বিজয় বেহেরা ও ভিকির কথা জানা যায়।
এপ্রসঙ্গে ধরমশালা পুলিশ স্টেশনের আইসি সরোজ কুমার সাহু বলেন, “মেয়েটির মুখ থেকে সমস্ত ঘটনা শুনেই মূল অভিযুক্ত বিজয়ের ফোন ট্র্যাক করতে শুরু করি। রবিবার হঠাৎ জানতে পারি সে কেরলে লুকিয়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ধরে কেরল পৌঁছে যাই আমরা। পরে ওইদিন রাতেই বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে ধৃত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.